বিডি নীয়ালা নিউজ (০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬)-ডেস্ক রিপোর্টঃ শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে কার্যকর করা হয়েছে মীর কাসেমের ফাঁসি। জামায়াতের প্রভাবশালী এই নেতার ফাঁসির পরপরই তা গুরুত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয়।
বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে মীর কাসেমকে ‘ইসলামী নেতা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও বলা হয়েছে জামায়াত নেতা। তবে প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমেই তার যুদ্ধাপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মানবতাবিরোধী অপরাধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে গুরুত্ব দিয়ে।
আল জাজিরা বলছে, মীর কাসেম ছিলেন দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দলের অর্থ যোগানদাতা। যুদ্ধাপরাধের কারণে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। আল জাজিরার সংবাদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
বিবিসির সংবাদেও প্রায় একই রকমের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মীর কাসেমকে বিবিসি টাইকুন বা ধনকুবের বলে উল্লেখ করেছে।
রয়টার্সে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা- নির্যাতন, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো এবং আরো জঘন্য অপরাধে জামায়াতের নেতা ও দলের প্রধান অর্থ যোগানদাতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
ব্রিটেনের দ্যা গার্ডিয়ান মীর কাসেমকে ইসলামী নেতা বলে অভিহিত করে এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তার ফাঁসি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তার দ্বারা সংগঠিত হত্যাকাণ্ড ও নানা অপরাধের কথাও উল্লেখ করেছে তারা।
ভারতের দ্য হিন্দু এবং পাকিস্তানের ডনও গুরুত্ব দিয়ে মীর কাসেমের ফাঁসির খবর প্রকাশ করেছে। দুটি মাধ্যমেই মীর কাসেমকে ধনবুকের জামায়াত নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বা/ট্রি