images

বিডি নীয়ালা নিউজ ( ১৬ই জুলাই ২০১৬ইং)- স্টাফ রিপোর্টার ঃ  প্রায় দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে আজ শনিবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে যাদের বয়স ছয়মাস থেকে পাঁচ বছর । দেশে শিশু মৃত্যু হ্রাস এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধে দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইন চালানো হবে আজ।

এদিন সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের প্রত্যেককে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশের ২০ হাজার স্থায়ী এবং ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রে (বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশন, বাজার) শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৪ লাখ ২০ হাজার কর্মী এ ক্যাম্পেইন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্বোধন হবে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক এ উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দীন মো নুরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহেদ হোসেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার এ কর্মসূচির সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ভিটামিন ‘এ’র অভাবে রাতকানা রোগের প্রার্দুভাব হ্রাস এবং শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু প্রতিরোধ করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এই ক্যাপসুলের কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই। কোনও গুজবে কান না দিয়ে এবং বিভ্রান্ত না হয়ে সব অভিভাবককে তাদের সন্তাদের নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ১৬ তারিখ সেসব শিশু বাদ পড়বে তাদের জন্য আগামী ৪ কর্মদিবসে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের এ ক্যাপসুল খাওয়াবে। ডেনমার্ক থেকে আনা উচ্চমানের এ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত উন্নতমানের ক্যাপসুল।

শিশুদের স্বাস্থ্য ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ কর্মসূচি সফল করতে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। একটি শিশুও যেনও বাদ না পড়ে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে