heckathon

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই এপ্রিল১৬)-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদন:  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে নির্বাচিত দশটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬। আগামীকাল ৬ ও ৭ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি)  কনভেনশ হলে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের এই হ্যাকাথন।

এ বছর হ্যাকাথনে অংশ নেবেন সারাদেশের প্রায় ২ হাজার প্রতিযোগী।  কৃষি উৎপাদন, নবজাতক ও শিশু, সড়ক দূর্ঘটনা, শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জ্বালানি সক্ষমতা, শহরের পরিবেশ, টেকসই পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ ও দূর্নীতি- এসডিজির এই দশটি লক্ষ্য অর্জনে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে মোকাবেলা করা যায় প্রতিযোগিদের সে সমাধান খুঁজে বের করবে অংশগ্রহনকারী প্রতিযোগীরা। ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীরা সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) তৈরি করবেন।

৬ এপ্রিল সকালে জাতীয় এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস প্রমুখ।

জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬ আয়োজন প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে দেশের তরুণ সমাজ। তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে সরকার এমডিজির মতো এসডিডিজি বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে চায়। এই আয়োজন সেই লক্ষ্য ত্বরান্বিত করবে। এজন্য আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। আশা করছি এই আয়োজনের মাধ্যমে তরুণদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আইডিয়াগুলো আমাদের নানা ধরণের জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬-এ সহায়তা করছে বাংলালিংক। এছাড়ও আয়োজনে যুক্ত রয়েছে ফেসবুক ও কিউবি। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীরা পাবেন অর্থ, সম্মাননাসহ আরও অনেক কিছু। যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপসহ সকল বিজয়ীদের দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা, বাংলালিংকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য রয়েছে ৫০ হাজার করে মোট পাঁচ লাখ টাকা এবং প্রথম রানারআপদেও প্রত্যেকের জন্য একটি করে ট্যাব। ফেসবুক দিচ্ছে ৮০ হাজার ডলারের ফেসবুক স্টার্ট সুবিধা এবং কিউবি পাঁচ মাসের ইন্টারনেট সুবিধাসহ দশ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেবে মোডেম। জাতীয় হ্যাকাথন অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০০ জন প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপ নির্মাতা প্রায় ৩৭০টি টিমে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০ ফ্রেবয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ মার্চ চলে এই কার্যক্রমের নিবন্ধন কার্যক্রম। প্রথমিক আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রগ্রোমারদের দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় হ্যকাথানের দ্বিতীয় আয়োজন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি)-এর নির্বাচিত ১০টি লক্ষ অর্জনের জন্য আয়োজিত হচ্ছে এবারের জাতীয় হাকাথন। সারা দেশের সেরা ডেভেলপার, ইউএক্স ডিজাইনার, মোবাইল অ্যাপ  ডেভেলপার, সফটওয়ার নির্মাতারা একত্রিত হবে বছরের বড় এই কোডিং ফেস্টিভালে। এসডিজির ১০ টি লক্ষ অর্জনের জন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান, তা প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেজন্য তরুণ প্রযুক্তিবিদরা একটানা ৩৬ ঘণ্টা কাজের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে অংশ নেবেন।

সেরা উদ্ভাবনগুলোকে বাস্তাবায়নের জন্য আইসিটি বিভাগ ভবিষ্যতে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে। ইতিমধ্যে ৫৫৩ টি দলের ৩ হাজার এরও বেশী অংশগ্রহণকারী জাতীয় হাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছে, এদের মধ্যে নির্বাচিত ২৫০ টি দল চূড়ান্তভাবে জাতীয় হাকাথনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী কার্যক্রমে সহায়তা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ১০ টি  মন্ত্রণালয়ের ৪৪ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় হ্যাকাথনের ডোমেইন এক্সপার্ট দল ও ৯০ জনের টেক-মেন্টর দল প্রস্তুত থাকবে।  বিশ্বজুড়ে হ্যাকাথন ম্যারাথন কোডিং ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত। হ্যাকাথনে ডেভেলপারদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ তৈরি হয়। আরো বিস্তারিত জানা যাবে http://hackathon.ictd.gov.bd/ ঠিকানায়।

#প্রিয় টেক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে