farmers_bank-1

 বিডি নীয়ালা নিউজ( ৭ই মার্চ ১৬)-ব্যাবসা ও বাণিজ্য প্রতিবেদন: জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে ফারমার্স ব্যাংক। সুদাসলে এখন তা ১৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি  মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ফারমার্স ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক। মাঝিরঘাটের ক্রিস্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। তার প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল ফিশারিজের ট্রলার গরিবে নেওয়াজ কেনার জন্য রয়েল ডিপ সি ফিশিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে গত বছরের প্রথম দিকে ওই ঋণ দেয় ফারমার্স ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়েল ডিপ সি ফিশিং নামের ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা খাতুনগঞ্জ কমার্স ব্যাংক ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের আরেকটি প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশন অফিসের ঠিকানাতেই ছিল রয়েল ডিপ সি ফিশিংয়ের অফিস। সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয় ক্রিস্টাল ফিশারিজের ওয়েবসাইটের তথ্যে।

লেনদেনের এক বছর কেটে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি গরীবে নেওয়াজকে তার ট্রলার হিসেবেই দাবি করছে। কিন্তু খতিয়ে দেখতে মাঝিরঘাটে ক্রিস্টাল ফিশারিজের অফিসে গিয়ে জানা গেল, ট্রলারটি এখনো তাদের তত্ত্বাবধানেই আছে। অর্থাৎ মালিকানা বদল হয়নি। আর ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নিতে কাগজে কলমে বদল করা হয় মালিকানা।

এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালককে বিশেষ সুবিধা দিতে শাখার কল রিপোর্টের আগেই প্রধান কার্যালয় থেকে ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। কীভাবে এত বড় অনিয়ম হলো, তা জানতে ফারমার্স ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

তবে ফারমার্স ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার  দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঋণ অনুমোদনের আগে এ প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ না দেয়ার পক্ষে ছিল ফারমার্স ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা। শাখাটি তখন  স্পষ্ট উল্লেখ করেছিল যে ফিশিং ট্রলারটি কেনার জন্য ঋণ দেয়া হলে তাতে লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই, লোকসানের আশঙ্কাই বেশি। কিন্তু তাদের মতামতকে কোনো পাত্তা দেয়া হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে