sona olimpice

বিডি নীয়ালা নিউজ( ২৫ই আগস্ট ২০১৬ইং)-আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অলিম্পিকে যদিও কখনোই সোনাকে আর্থিকভাবে বিচার করা হয় না। কারণ আর্থিক মূল্যের তুলনায় এর সম্মান বহুগুণ। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে, এ সোনার মেডেলের পুরোটা সোনারও নয়। বরং, খুবই কম পরিমাণ সোনা দিয়ে এই মেডেলটি তৈরি করা হয়।

তবে প্রশ্ন থাকতে পারে বছরের পর বছর ধরে খেলোয়াড়েরা কঠোর পরিশ্রম করেন ওই পদকটি অর্জনের জন্য। অনন্য অধ্যবসায় দিয়ে খেলোয়াড়েরা অর্জন করেন এই পদক। পদকমঞ্চে দাঁড়িয়ে গলায় পদক নিয়ে নিজ দেশের জাতীয় সংগীতের সুর মূর্ছনায় অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন। সেক্ষেত্রে এই মেডেলই যদি পুরোটা সোনা দিয়ে তৈরি না হয় তাহলে এত কষ্ট করে কী লাভ।

খেলোয়াড়দের কাছে এর মূল্য যতখানি, একজন বৈষয়িক মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে অলিম্পিক সোনার পদকের মূল্য ততটাই হতাশ করবে আপনাকে।

প্রথমত, অলিম্পিকের সোনার পদকে ‘সোনা’ থাকে নামমাত্রই। এবারের রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলের জাতীয় টাঁকশাল ৫০০ গ্রাম ওজনের যে সোনার পদকগুলো তৈরি করেছে, তাতে সোনার পরিমাণ আসলে মাত্র ৬ গ্রাম। বাকি ৪৯৪ গ্রাম ওজন ভর্তি করা হয়েছে রুপা দিয়ে। পুরো পদকটির দাম বর্তমান বাজারদরে ৬০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৭ হাজার ১৫১ টাকা।

আর রুপা অংশটি বাদ দিয়ে পদটিতে যে পরিমাণ সোনা আছে, সেটির দাম ২৬৮ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২১ হাজার ৬১ টাকা। যদি পুরো পদকটিই সোনায় তৈরি হতো, তাহলে এর বাজারমূল্য দাঁড়াত ২৩ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ১৮ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ টাকা।

একটা সময় কিন্তু নিখাদ সোনার পদকই দেওয়া হতো অলিম্পিকে। ১৯০৪ সালের সেন্ট লুইস অলিম্পিকে কেবল পদকের জায়গায় সমপরিমাণ সোনায় নির্মিত ট্রফি দেওয়া হয়েছিল। অলিম্পিকের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ‘দামি’ সোনার পদক দেওয়া হয়েছিল আজ থেকে চার বছর আগে, ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে। সেবার প্রতিটি সোনার পদকের দাম ছিল ৭০৮ ডলার বা ৫৫ হাজার ৬৩৮ টাকা।

১৯১২ সালের স্টকহোম অলিম্পিকে শেষবারের মতো আক্ষরিক অর্থেই সোনার মেডেল পেয়েছেন বিজয়ীরা। সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচের মাত্রা আকাশ ছুঁলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নামমাত্র সোনায় তৈরি পদক দেওয়া শুরু করে।

 

 

 
সূত্র: বাসেল ডটকম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে