ডেস্ক রিপোর্ট : প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ করেছে। তবে অতিরিক্ত মোবাইল-ট্যাবলেট আসক্তি জন্ম দিতে পারে নানাবিধ শারীরিক সমস্যার। সম্প্রতি দুজন অস্ট্রেলীয় গবেষক দাবি করেছেন, এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে তরুণদের মাথার পেছনে, নিচের দিকে অস্বাভাবিক হাড়ের দেখা মিলছে। দেখতে ‘শিং’-এর মতো বাড়তি এই হাড়ের উপস্থিতি উদ্বেগজনক।

ডেভিড সাহার ও মার্ক সেয়ার্স নামে ওই দুই গবেষক জানান, তারা বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা করছেন। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুই শ তরুণের এক্সরে রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে তারা শতকরা ৪১ ভারে ঘাড়ে বাড়তি হাড়ের উপস্থিতি পেয়েছেন। এগুলো ১ সেন্টিমিটার থেকে ৩.৫ সেন্টিমিটার বৃহৎ। হাতে ব্যবহারযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো, যেমন মোবাইল বা ট্যাবলেট এর জন্য দায়ী।

তাদের মতে, তরুণদের ক্ষেত্রে এ ধরনের হাড়ের উপস্থিতি আগে ছিল খুবই কম। তবে দেখা যেত বুড়োদের ঘাড়ে। কারণ দীর্ঘ বছর মেরুদণ্ডে চাপের কারণে এই বাড়তি হাড় জন্ম নেয়।

সাহার ও সেয়ার্স মনে করেন, মোবাইল বা ট্যাবলেটের মতো ডিভাইস দীর্ঘসময় হাতে রেখে ব্যবহার করতে গিয়ে শরীরের ওপর বাড়িত চাপ প্রয়োগ করতে হয়। ঘাড় নোয়ানো ও মেরুদণ্ডে চাপের ফলে তরুণদের ঘাড়ে এই অস্বাভাবিক বাড়তি হাড় বেড়ে উঠছে। ডিভাইস ব্যবহারের সময় সঠিকভাবে শরীর নিয়ন্ত্রণ করলে এই ঝুঁকি কমতে পারে।

এছাড়া, অতিরিক্ত সময় মোবাইলে গেম খেলা, সিরিয়াল বা খেলা দেখা অথবা দীর্ঘসময় চ্যাট করার মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গবেষকরা আরও জানান, মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বাড়তি হাড় গজানোর সমস্যায় বেশি ভুগছে। কারণ মোবাইলে গেম খেলার আসক্তি তাদেরই বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে