মারুফ সরকার : বিনোদন প্রতিনিধি :
শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে একটা তোড়জোড় যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ক্ষোভও। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বেশ কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় সমিতির কার্যক্রম একেবারেই থমকে গেছে। সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বডিগার্ড সঙ্গে নিয়ে সমিতির কার্যালয়ে আসেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থেকে চলে যান। তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে এফডিসিতে, বিশেষ করে শিল্পী মহলে। তিনি অনেক প্রবীণ শিল্পীকেও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সহযোগী সদস্য করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাতে শিল্পীদের একটা বড় অংশই জায়েদ খানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচন যতোই এগিয়ে আসছে এই বিপক্ষ অবস্থান ততোই স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। মিশা সওদাগর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই গণমাধ্যমকে বলেছেন, শোকের মাস বলে আগস্ট মাসে সমিতির কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। এ মাসেই আমরা শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করব। আশা করি অক্টোবর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে।
মিশা সওদাগরের এ বক্তব্য থেকে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে যে, অক্টোবর মাসে শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বারের নির্বাচনে মৌসুমী নির্বাচিত হয়েও অল্প সময়ের নানা মতবিরোধের কারণে কমিটি থেকে সরে গেছেন। সেই সময় অভিযোগ ওঠেছিল যে, নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর ভোট গণনা নিয়ে কারচুপি করেছেন। আকবর অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আগামী নির্বাচনও যদি তিনি পরিচালনা করেন তাহলে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে বলছেন। নির্বাচনের দিন রাতে শাকিব খানও লাঞ্ছিত হয়েছেন এফডিসিতে। সে নিয়েও এক শ্রেণীর শিল্পীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তারা চাইছেন শাকিব খানকে আবারও শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে প্রার্থী করা হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে প্যানেল ঘোষণা হয়ে যাবে। এমন প্রস্তুতিই শিল্পীরা নিয়ে রেখেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে