আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইথিওপিয়ার ওরোমো অঞ্চলে একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় সোমবার দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক শুরু হয়েছে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে তারা মারা যান।
দেশটির ওরোমো সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ বর্ষা ঋতুর অবসান উপলক্ষে থ্যাংকসগিভিং উৎসবের জন্য রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বিশোফতু এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন।
পুলিশ ওই জমায়েতের মধ্যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে সেখানে গোলযোগ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হন অনেকে।
আঞ্চলিক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, জমায়েতের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ায় পদদলিত হয়ে ৫২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বেশ কয়েকজন গভীর খাদে পড়ে যায়।
তবে এক বিরোধী জানান, প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে তিনি মনে করছেন। তার ধারণা, শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।
নিহতদের স্মরণে দেশটিতে আজ জাতীয় শোক শুরু হয়েছে। দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়েছে এবং রেডিওতে শোক সংগীত বাজানো হচ্ছে।
আঞ্চলিক সরকার বিপর্যয়ের জন্য ‘কান্ডজ্ঞানহীন বাহিনীকে’ দায়ী করেছে।
ইথিওপিয়ায় গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে এবং পবিত্র হৃদে আয়োজিত উৎসব দ্রুত রাজনৈতিক রূপ পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার বলেছে, কয়েকটি দলের সহিংসতার কারণে উৎসব ব্যাহত হয়েছে এবং পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, উৎসবে আগতরা স্বাধীনতার জন্য শ্লোগান দেন। কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করে। জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণেরও খবর পাওয়া যায়।
বিরোধী ফেডারেলিস্ট কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মিরেরা গুদিনা বলেন, সরকারিভাবে প্রাণহানির যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে তার ধারণা।
এএফপি