brikko-800x300

বিডি নীয়ালা নিউজ(২০ই ফেব্রুয়ারী১৬)-ইসলামিক প্রতিবেদনঃ  এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের আদর্শ নবী (সা.) এর আদর্শের চেয়ে অধিক পূর্ণাঙ্গ। কিংবা এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের বিধান নবী (সা.) এর বিধান অপেক্ষা অধিক উত্তম। যেমন কেউ কেউ যদি তাগুতের বিধানকে নবীর বিধানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকে সে ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হবে।

১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। তা ব্যতিরেকে এর নিম্নপর্যায়ের পাপ সবই তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন।’ (সূরা নিসা : ১১৬)। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি শিরক করবে আল্লাহ তার ওপর জান্নাত হারাম করে দেবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম, আর এসব জালেমের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।’ (সূরা মায়িদা : ৭২)। উল্লেখ্য, এই শিরকের অন্তর্ভুক্ত হলো : মৃতকে আহ্বান করা, তাদের কাছে ফরিয়াদ করা, তাদের জন্য নজর-নেওয়াজ মানা ও পশু জবেহ করা।

২. নিজের ও আল্লাহর মধ্যে মধ্যস্থতা সাব্যস্ত করে তাদের উপরেই ভরসা রাখা। এ ধরনের ব্যক্তি সর্বসম্মতিক্রমে কাফের বলে গণ্য।

৩. মোশরেককে মোশরেক বা কাফেরকে কাফের না বলা বা তাদের কুফরিতে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদের ধর্মকে সঠিক ভাবা।

৪. এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের আদর্শ নবী (সা.) এর আদর্শের চেয়ে অধিক পূর্ণাঙ্গ। কিংবা এ বিশ্বাস করা যে, অন্যের বিধান নবী (সা.) এর বিধান অপেক্ষা অধিক উত্তম। যেমন কেউ কেউ যদি তাগুতের বিধানকে নবীর বিধানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকে সে ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হবে।

৫. রাসুল (সা.) আনীত কোনো বস্তুকে ঘৃণার চোখে দেখা। এ অবস্থায় সে কাফের বলে গণ্য হবে যদিও সে ওই বস্তুর ওপর বাহ্যিকভাবে আমল করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তা এজন্যই যে, তারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিষয়কে ঘৃণা করেছে, সুতরাং আল্লাহ তাদের আমলগুলোকে পন্ড করে দিয়েছেন।’ (সূরা মুহাম্মদ : ৯)।

৬. দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে বা তার পুরস্কার কিংবা শাস্তিকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনি বলুন, (হে রাসুল) তোমরা কি আল্লাহর সঙ্গে, স্বীয় আয়াতগুলোর সঙ্গে এবং রাসুলের সঙ্গে ঠাট্টা করছিলে? কোনো প্রকার ওজর-আপত্তির অবতারণা করো না। তোমরা ঈমান আনয়নের পর আবার কুফরি করেছ।’ (সূরা তওবা : ৬৫-৬৬)।

৭. জাদু-টোনা করা। জাদুর অন্যতম প্রকার হলো তন্ত্রমন্ত্রের সাহায্যে দুইজন মানুষের বন্ধন তৈরি করা বা তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি জাদু করবে বা তাতে রাজি হবে সে কাফের বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ওই দুইজন (হারুত-মারুত ফেরেশতা) কাউকে জাদু শিক্ষা দিতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত এই কথা না বলতেন- নিশ্চয় আমরা (তোমাদের জন্য) পরীক্ষাস্বরূপ। সুতরাং আমাদের কাছে জাদু শিখে কাফের হইও না।’ (সূরা বাকারা : ১০২)।

৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোশরেকদের সাহায্য সহযোগিতা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্য হতে যে ওদের (অর্থাৎ বিধর্মীদের) সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ জালেমদের হেদায়েত দান করেন না।’ (সূরা মায়িদা : ৫১)।

৯. এ বিশ্বাস করা যে, কারও জন্য মুহাম্মদ (সা.) এর শরিয়তের বাইরে থাকার অবকাশ রয়েছে। যেমন- (এক শ্রেণীর ভ্রান্ত সুফির ধারণা অনুপাতে) অবকাশ ছিল খিজির (আ.) এর জন্য মুসা (আ.) এর শরিয়ত হতে বাইরে থাকার। এ বিশ্বাসেও সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম অন্বেষণ করবে তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে।’ (সূরা আলে ইমরান : ৮৫)।

১০. সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দ্বীন থেকে বিমুখ থাকা। সে ব্যাপারে জ্ঞানার্জন না করা, তদনুযায়ী আমল না করা, এ ধরনের মনমানসিকতার ব্যক্তিও কাফের বলে পরিগণিত হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ওই ব্যক্তি অপেক্ষা কে বেশি জালেম (অত্যাচারী) হতে পারে, যাকে উপদেশ দেয়া হয়েছে স্বীয় প্রতিপালকের আয়াতগুলো দ্বারা, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়েছে? নিশ্চয় আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।’ (সূরা সাজদা : ২২)।
সৌজন্যে : আলোকিত বাংলাদেশ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে