সাম্প্রতিক সংবাদ

সয়াবিনের প্রভাব: ফেব্রুয়ারিতে ফের বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতি

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ওঠে ১৬৯ টাকা ৬৫ পয়সায়, যা আগের মাসে (জানুয়ারি) ছিল ১৬০ টাকা ১০ পয়সা। চলতি (২০২১-২২) অর্থবছরের শুরু থেকেই নানা কারণে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। এতে অব্যাহতভাবে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ বা গড় মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএস জরিপে দেখা গেছে, মূলত সয়াবিন তেল ও ডিম খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এক লিটার তেল কিনতে ভোক্তার খরচ হয়েছে গড়ে ১৬৯ টাকা ৬৫ পয়সা, জানুয়ারিতে ভোক্তা একই পরিমাণ তেল কিনেছে ১৬০ টাকা ১০ পয়সায়। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ভোক্তাকে এক লিটার সয়াবিন তেলের জন্য বাড়তি প্রায় ৯ টাকা গুনতে হয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে চিনির দামও। জানুয়ারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮৫ টাকা ১৫ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৮৬ টাকা ০৮ পয়সা। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ১ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৯ টাকা।

গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, চাল, আটা-ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দামই বেড়েছে।

তবে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগের মাস জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। মূলত এক মাসের ব্যবধানে প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমায় এ খাতেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

গ্রামের মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও শহরে এ হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ নিত্যপণ্য কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘মূলত বৈশ্বিক কারণেই মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়তি। তবে আমাদের সরকার সফলতার সঙ্গে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সামনে এ হার আরও কমবে। দেশের নানা স্থানে ট্রাকভর্তি খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

Jag/N

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

shared on wplocker.com