160829084855_bangladesh_wills_little_flower_student_risha_killed_640x360_focusbangla_nocredit

বিডি নীয়ালা নিউজ( ২৯ই আগস্ট ২০১৬ইং )-ডেস্ক রিপোর্টঃবাংলাদেশের ঢাকায় ছুরিকাঘাতে আহত স্কুল ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা মারা যাবার পর তার পরিবার অভিযোগ করছে, উত্যক্তকারীর হামলাতেই সে মারা গেছে। দর্জির দোকানের এক কর্মচারী তাকে দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছিল বলে জানায় তার পরিবার। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের হিসেবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে কিংবা এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১৫০ জন নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। কয়েক বছর আগে যৌন হয়রানি এবং ইভটিজিংয়ের বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে এবং এ নিয়ে তখন সচেতনামূলক প্রচারণাও হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময় ইভটিজিংয়ের ঘটনায় মৃত্যুর খবর শোনা যায়নি। তবে স্কুল ছাত্রী রিশার মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছে ইভটিজিং কি আদৌ কমেছে?

বাংলাদেশে এখনও এ ধরনের ঘটনা কতটা ব্যাপক?

আইন ও শালিস কেন্দ্রের কর্মকর্তা নিনা গোস্বামী বলছিলেন ঘটনাগুলো থেমে থেমে ঘটছে। হয়রানির ধরনগুলোও ধীরে ধীরে পাল্টেছে।

নিনা গোস্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী “সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। ঘুনে ধরলে যেমন তেমন ঘুনে ধরে সমাজে এ ঘটনাগুলো চলছেই”।

২০১০ সালের দিকে ইভটিজিং নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক খবর হয়, এ নিয়ে আন্দোলন হয় এবং সচেতনতা তৈরিতে ও ইভটিজিং প্রতিরোধে একটি আইন করা হয়।

কিন্তু সেই আইনের প্রয়োগ কতটা আছে?

নিনা গোস্বামী বলেন, সেই আইনের প্রয়োগ অনেক জায়গায় আছে, কিন্তু অনেকে অভিযোগ করেন না বলে উল্লেখ করেন নিনা গোস্বামী।

মিস গোস্বামী বলেন, “এ ঘটনায় পরিবার যেহেতু জানতো যে কে মেয়েটিকে হয়রানি করেছে, তাহলে তারা কেন পুলিশে অভিযোগ করেনি? তাহলে হয়তো ওই ব্যক্তি গ্রেফতারও হতে পারতো”।

একটা সময় এ ধরনে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লুকিয়ে রাখার একটা প্রবণতা ছিল, তা অনেকটাম কমে এলেও সচেতনতা সবার মধ্যে এখনও আসেনি বলে উল্লেখ করেন মিস গোস্বামী।

“আইনের প্রয়োগ তখনই হবে যখন প্রতিকার চাওয়া হবে। আমি প্রতিবার চেয়েছি পাইনি এটা বলার মতো পরিস্থিতিইতো এখানে হয়নি। কোন ঘটনা ঘটল প্রশাসনকে জানানো উচিত।

সুরাইয়া আক্তার রিশার মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সবার আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে রিশার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে আজও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

 

বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে