2016-10-02_6_6273381

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, কাঁচামাল ও জনবল সংকটের মুখে পড়েছে প্রায় দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবহনকারী সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। অথচ এসব সমস্যা সমাধান করা হলে এখানে তৈরী হবে বিশ্বমানের কোচ। যা দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানী করে আয় করা সম্ভব বৈদেশিক মুদ্রা। তবে কারখানাকে আধুনিকায়ন করে সব সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী।

বিগত ১৮৭০ সালে একশ’ ১০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এক সময় প্রায় ১২হাজার শ্রমিকের পদচারনায় মুখরিত ছিল কারখানা। ২২টি ওয়ার্ক সপে ছোট বড় মেশিনের চাকা ঘুরত দিন রাত। এখন মেকানিক্যাল ও ইলেট্রিক্যাল বিভাগে তিন হাজার একশ’ ৭২জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র এক হাজার চারশ’ ৪৭জন।
কারখানায় কর্মরত দক্ষ কারিগররা বলেছেন, জনবল নিয়োগ দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ দেয়া হলে নির্মাণ করা যাবে বিশ্বমানের কোচ। এ কারখানায় তৈরীকৃত কোচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানী করা সম্ভব। এতে আয় হবে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা।

বর্তমানে বিদেশ থেকে যেসব কোচ আমদানী করা হচ্ছে তার থেকে আরও মানসম্মত কোচ এখানে তৈরী করা সম্ভব। কোচ আমদানী করতে যে পরিমান টাকা ব্যয় হয় তার থেকে অর্ধেক ব্যয় করে এখানে কোচ তৈরী করা যাবে। এতে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমান টাকা। কারখানার সবগুলো শপকে আধুনিকায়ন করা হলে বর্তমান সৃষ্ট পদের চেয়ে আরও অনেক বেশী জনবলের প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন বলেছেন, খালাসি পদে তিনশ ৭২জনের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র একশ’জন। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে তিনশ’জন দক্ষ কারিগর অবসরে যাবেন। নতুন জনবল নিয়োগ দেয়ার পর তারা দক্ষ কারিগরদের সাথে থেকে এক পর্যায়ে দক্ষ হয়ে উঠে। কিন্তু যেভাবে দক্ষ কারিগররা অবসরে যাচ্ছেন সেভাবে নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এতে এক পর্যায়ে এই কারখানা দক্ষ কারিগর শুন্য হয়ে পড়বে। কারখানাকে সচল রাখতে দক্ষ কারিগররা অবসরে যাওয়ার আগেই নতুন জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।  তা না হলে কারখানায় সৃষ্টি হবে অচলাবস্থা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে