2016-10-02_6_982716

ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদ সদস্যরা সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দরিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন।
তিনি এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সকল সংসদ সদস্যকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান।
স্পিকার রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র’ সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ মোছাঃ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন,সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রমের আওতায় বর্তমান সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা,অসহায় ও দুস্থ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে। এ সরকার সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগনকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পিকার বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম একটি অতি সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ। ক্রমশই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রমের আওতা ও ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে এবং এর ফলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত হচ্ছে।
তিনি ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে দেশের সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
কর্মশালায় জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।
পরে উপস্থিত সংসদ সদস্যবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে