…………………মাহফুজার রহমান মণ্ডল

 

হাজার হাজার শতাব্দী ছেড়ে যাচ্ছে প্রবীনদের এড়িয়ে,

আর নবীনরা যাচ্ছে আকাশ পাতাল জয়ের দিগন্তে,

তাইতো আধুনিকচেতা নাগরিকগণ

দিনেদিনে সবকিছু পাচ্ছে হাতের নাগালে।

টিপ দিলে পানি পড়ে, ফ্যান ঘুরে, আলো জ্বলে

সবকিছু নিমিষে ঘটে, হে দূরন্ত দু’হাজার।

তোমার পরে আসবে যারা ইশারাতে কাজ করবে তারা,

ধ্বংস হলে এই পৃথিবী মুছবে স্মৃতি চিরজীবী।

 

আমার রচিত “বিদ্রোহ তোমার জন্য” কাব্য গ্রন্থে “দু’হাজার বাংলাদেশ” কবিতার শেষ কয়েকটা লাইনে আগামী দিনগুলোতে যে উন্নায়নের বন্যা বয়ে যাবে এরকম একটা উক্তি উপরে তুলে ধরেছি। আমাদের দেশের মানুষেরা বিজ্ঞানের ছোঁয়া পেয়ে যেমন কাজে লাগাচ্ছে তেমনি সরকারও তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন ডিজিটাল দেশ গড়তে আর সন্মলিত চেষ্টায় আজ বাংলাদেশে উন্নায়নের জোয়ার দেখা দিয়েছে।

গত ১৪ই অক্টোবর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এক বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে দু’দেশের মধ্যে একটি নয় দু’টি নয় ২৬টি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে, আশাকরা যায় উন্নায়নের জোয়ার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে ছয়টি প্রকল্প, এছাড়া অন্যান্য চুক্তিগুলো মধ্যে দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, তথ্য যোযোগাযোগ প্রযুক্তি, ভৌত অবকাঠামো সড়ক-সেতু, রেল যোগাযোগ ও জলপথে যোগাযোগ, কৃষি, সমুদ্র-সম্পদ, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক। তাই দিন যত যাচ্ছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে যা চীনকে দিয়ে প্রমানিত। একটু গভিরভাবে চিন্তা করলে দেখতে পারি যে দু’দেশের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী চীন বাংলাদেশকে ২৪ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণ দেবে বিভিন্ন খাতে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, যার একেকটির ক্ষমতাই হবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চীন। এছাড়া একটি সার কারখানা, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কনফুসিয়াস ইনষ্টিটিউট’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে চীনা অর্থ সাহায্যে। তাই ২০১৭ হবে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বছর একথাটি প্রায় পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালগুলোতে ফুটে উঠেছে।

এদিকে এই মাসের প্রথমের দিকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ বিনিয়োগে সেদেশে (ইরান) একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইরানে সফররত শিল্পমন্ত্রী সে দেশের ইস্পাহান প্রদেশের গভর্নর জেনারেল রাসূল জারগাপুর’র সাথে এক বৈঠকে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। গভর্নর জেনারেলের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আমির হোসেন আমু বলেন, যৌথ বিনিয়োগের এ প্রকল্পে প্রয়োজনে দু’দেশের পাশাপাশি তৃতীয় অংশীদার হিসেবে। যাইহোক উন্নায়নের এটি আর একটি অংশ যা কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে দৃষ্টান্ত রাখবে।

১৯ই অক্টোবর, দারিদ্র বিমোচনে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা খুবই উদ্যোমী ও পরিশ্রমী। বিশ্বব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা নিয়ে নিজেদের নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের দ্বারা অতি অল্প সময়ে দারিদ্র দূর করে ভাগ্যবদল করতে সক্ষম হয়েছে বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের ১৯৮টি পরিবার। বিশ্ব ব্যাংক ২০১৭-১৮ সালের জন্য বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা (আইডিএ) ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। বিশ্ব ব্যাংক আরও বলেছে, বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন। ঢাকায় সফররত বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়াং কিম আজ অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের সঙ্গে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বলেন, পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে বাংলাদেশকে আরো অতিরিক্ত এক বিলিয়ন মাকির্ন ডলার দেয়া হবে। যেভাবে হোক বাংলার মাটিতে অর্থ আসছে এটা একটা উন্নায়নে অংশ বটে।

আমদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল উন্মুক্ত এবং ১১টি ড্রেজার’এর শুভ উদ্বোধন করেন। এতে মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-পথের দুরত্ব ৩১ কিলোমিটার যা মানব কল্যাণের একটা অংশ। এছাড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি এমজি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ’এ প্রকল্পসহ মোট তিন হাজার ৪শ’ ৮৮ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

শুধু রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও ট্রান্সপোর্ট নয় তিনি সকল শিশুরই সমাজে সমান অধিকারের উল্লেখ করে বলেছেন, কোন শিশুই যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এবং শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আজকে খাদ্যের কোন অভাব নেই কাজেই কোথাও কোন শিশুই যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। আমরা প্রত্যেকটার ব্যবস্থা করে দিব। শিশুদের সুরক্ষায় ‘১০৯৮’ হেল্প লাইনের উদ্বোধন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এই সেবার উদ্বোধন করেন। ইউনিসেফের উদ্যোগে এই সেবাটি পরিচালিত হবে। যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে শিশুদের বিষয়ক সবরকম তথ্য।

দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিকে বেগবান করতে ‘একটি বাড়ী একটি খামার’ সংশোধিত প্রকল্পসহ ৯ হাজার ৪৪৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্প ব্যয়ের পুরো অর্থ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। মঙ্গলবার(২৫/১০)প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বাংলাদেশের দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের তালিকা করতে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তাদের তালিকা পাঠান, ঘর করে দেবো। বাংলাদেশে দরিদ্র বলে কিছু থাকবে না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’ শনিবার(২২/১০) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া দেশের উপকূলীয় এলাকায় ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।

দরিদ্রের ক্ষেত্রে গৃহের ব্যবস্থা করার কথা বলে থেমে থাকেন নি, তাদেরকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খায়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে।

তাহলে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী গরীবের প্রতি এত ভালবাসা দেখাচ্ছেন সেই গরীবদের দেশে উন্নায়নের ছোঁয়া না লেগে যাবে কোথায়?

কৃষি ক্ষেত্রে অবদান আগে থেকেই এই সকারের যার ফলে গরিব-দুঃখীরা সবাই ইলিশ খেতে পেরেছে তারই ধারাবাহিকতায় এই মাসে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৭ জেলা ও ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাতে ইলিশধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে : চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী হতে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দিন হতে পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ও কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর সীমান্ত পর্যন্ত।

শিক্ষার ক্ষেত্রেও দেশ পিছিয়ে নেই যেখানে এই মাসে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার প্রতিবছর ৩২ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই সরকার শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে গ্রহণ করেছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। আগামীতে গবেষণা করছে এমন শিক্ষার্থীকেও বৃত্তি দেয়া হবে।

দেশ এখন খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশে এখন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সদর দফতরে সোমবার মিনিস্টেরিয়াল মিটিংয়ের ‘লং-টার্ম কমোডিটি প্রাইস ট্রেন্ডস এন্ড সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট’ সেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আইসিটিতে বাংলাদেশ এখন পিছিয়ে নেই, শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর এশিয়া-প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারে সোমবার দুপুরে ৪২তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিশ্বজুড়ে সেইফ সাইবারস্পেস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশে সাইবারস্পেসকে দুষণ মুক্ত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) যুগে তথ্যের অবাধ বিচরণে দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে সোনার বাংলা গড়ে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই স্বপ্নের অর্থ হলো, আমরা অন্য কোন দেশ অথবা জাতির ওপর নির্ভরশীল হব না, নিজেদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়েই আমরা আমাদের উন্নতি করব।

এদিকে দেশকে উন্নায়নের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে গেলে সামরিক, নৌ, বিমান বাহিনীর উন্নায়নের দিকটা নজর দিতে হবে যেন এই সাজানো দেশটিকে কেউ কেরে নিতে না পারে। তাই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে চলতি বছরেই দুইটি সাবমেরিন যুক্ত হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে এইমাসে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।

কিন্তু মজার বিষয় এইমাসেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল আর এই সম্মেলন যোগদান করা বিদেশী প্রতিনিধিগণ দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নের ন্যায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আর এই সুযোগে দেশ উন্নায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের সংগে আরও জোরাল পদক্ষেপের আলোচনায় মেতে উঠলেন। তাঁরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি তৎপরতা, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়াও বাংলাদেশ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, খাদ্য নিরাপত্তা, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, পরিবেশ বিশেষ করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিধিগণ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন।তবে এই সম্মেলনে দেশ উন্নায়নের ব্যাপারে তিনি অনেক পদক্ষেপের কথা বলেন যা বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

একটি দেশের উন্নায়নের জন্য যা যা লাগে তার প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের সরকার নিয়েছেন। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে কি চাই, যদি খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা অভাব না থাকে। তাই এই মাসে প্রায় প্রতিটি মৌলিক চাহিদা মেটানর অনেক পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য দিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে যেখানে একটি দেশে মৌলিক চাহিদা মেটালে হবে না, উন্নায়নের জন্য চাই বাড়তি কিছু। যেমন একটি দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে সে দেশের উন্নায়ন দ্রুত সম্ভব।

তাই দেশের উন্নয়নের জন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারে পদক্ষেপগুলোকে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, মনে রাখতে হবে একটি দেশের উন্নায়নের চাবিকাঠি জনশক্তির উপর নির্ভর করে। বিন্দু বিন্দু পানি নিয়ে সাগর সৃষ্টি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালি কনা নিয়ে পাহাড় সৃষ্টি আর দশের লাঠি যেমন একের বোঝা, তেমনি সম্মলিত চেষ্টায় উন্নায়ন জোয়ার আসা।

 

লেখক– কলামিষ্ট, সম্পাদক ও কবি

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে