জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ‘মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এমনকি জুয়া, আত্মহত্যা রোধেও বিশেষ ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নীলফামারীর নবাগত পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন। যোগদানের ২৪ঘন্টার মধ্যেই গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করে নিজের বিশেষ কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে (৯জুলাই) পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী প্রেসক্লাব সভাপতি মঞ্জুরুল আলম সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রথম আলোর প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক ও সিনিয়র সাংবাদিক যমুনা টিভির আতিয়ার রহমান, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আল ফারুক পারভেজ উজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন এতে বক্তব্য দেন।
পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন বলেন, আমি গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রথমেই গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার উদ্যোগ নেই। কারণ সাংবাদিক ও পুলিশ সম্মিলিত ভাবে কাজ করলে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব। সাংবাদিকই আমার পরম বন্ধু।
তিনি বলেন, শুধু চাকুরীজীবী নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই এই জেলার মানুষদের। পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন বলেন, মাদক একটি মানুষ, পরিবার, সমাজকে ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়। অপরাধের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ এই মাদক। মাদকে কোন উপকার নেই বরং সবার ক্ষতি। এজন্য মাদকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আসতে হবে।
বলেন, নীলফামারীতে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে এটি রোধে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয়া হবে আত্মহত্যা প্রতিরোধে।
পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম ও সদর ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক জ্যোর্তিময় রায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত পিবিআই’র পুলিশ সুপার হিসেবে দিনাজপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন মোকবুল হোসেন সম্প্রতি নীলফামারী জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন হয় তার এছাড়া নীলফামারীর পুলিশ সুপার গোলাম সবুরকে টাঙ্গাইল জেলায় বদলী করা হয়।