5c8398ed0718c932b9926d45268f0c17-habibur-rahman-taj

বিডি নীয়ালা নিউজ(২১জানুয়ারি১৬)- ঢাকা প্রতিবেদকঃ  রাজধানীর কাফরুল এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইসমাইল হোসেন হত্যার পেরিয়ে গেল নয় বছরে । মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে  এখনো কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানির তারিখ নির্ধারণের মধ্যে আটকে আছে বিচার।
ঢাকার জননিরাপত্তা আদালতের পেশকার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নয় বছরেও শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
জননিরাপত্তা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ার সাহাদাত বলেন, ‘সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি। সাক্ষীদের আদালতে হাজির না করালে আমাদের কী করার আছে?’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে তাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। বেশ কয়েকটি খুনের মামলার আসামি তাজ একপর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যান। ২০০৮ সালে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রাজধানীর কাফরুলে কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম ওরফে মোমিনকে হত্যার দায়ে মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও তাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। বছরের পর বছর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
মোমিন হত্যার রায় দেওয়ার দিন (২০১১ সালের ২০ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক রেজাউল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি তাজ সম্পর্কে বলেন, ‘আসামি তাজকে আমি দেখেছি। পুলিশ সদস্যরা জামাইবাবুর সাজে সাজিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করেছেন। তাঁকে আদর-আপ্যায়ন করেছেন। এঁরা বেহায়া, নির্লজ্জ। পত্রিকায় জেনেছি, এই তাজ দুর্ধর্ষ শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী। তাজ সব সময় সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে জামাইবাবু সেজে আসতেন, কাঠগড়ায় না দাঁড়িয়ে বেঞ্চে বসতেন, বাদাম খেতেন। পুলিশের সামনেই তিনি এই কাজগুলো করেছে। তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। তবে আদালত ভাবাবেগে নয়, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা বা খালাসের সিদ্ধান্ত নেবেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে