sheikh-hasina

ডেস্ক রিপোর্টঃ অভিবাসী এবং শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, অভিবাসন বিষয়টি সার্বিকভাবে মোকাবেলায় বিশ্বকে পারস্পরিক দায়িত্বশীলতার ওপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যে কোন পরিস্থিতিতে তাদের মর্যাদা নির্বিশেষে অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রী আজ জাতিসংঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের প্লেনারির একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় শরণার্থী এবং অভিবাসীদের সম্পর্কে এসব কথা বলেন।
শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিষয়ে প্রথমবারের মত সম্মেলন আহ্বান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে হবে এবং মানুষের চলাচল ব্যবস্থাপনা সুচিন্তিত, জোরালো, উচ্চাভিলাসী ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বৃহত্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের এটি করা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভিবাসন জনগণের জন্য কল্যাণকর ও বাস্তবতা ও স্বাধীনতার প্রত্যাশার নিরিখে এ বিষয় আমাদের সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে হবে।’
তিনি অভিবাসন ব্যবস্থাপনার কিছু দিক তুলে ধরেন।
সার্বিকভাবে অভিবাসন বিষয় সুরাহার জন্য প্রথমে পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ, যৌথ দায়িত্ব ও অংগ্রহণ জরুরি।
এই বৈশ্বিক নীতিমালা অবশ্যই আমাদের অভিন্ন চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
দ্বিতীয়ত আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে, কাউকে পেছনে ফেলে যাবো না। সকল পরিস্থিতিতে অভিবাসন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বহুমুখি সমাজের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হবে, অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের অধিকার সুরক্ষা ও সমুন্নত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সমতা বিধান জরুরি।
তৃতীয়ত, অভিবাসন ও চলাচলের জন্য প্রয়োজন এটিকে নতুন ইতিবাচক অধ্যায়ে নিয়ে যাওয়া। অভিবাসন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট অন মাইগ্রেশন প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জাতিসংঘ সদর দফতরে বৈঠক করেন মায়ানমারের ‘স্টেট কাউন্সিলর’ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচি।
এছাড়াও কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন।

 

B/S/S

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে