বিডি নীয়ালা নিউজ(২২ই আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবারহ করা সকল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, বা বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে যেসব সিলিন্ডারে করে গ্যাস সরবারহ করা হয়, মঙ্গলবার থেকে সেসবের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসির এলপিজি সিলিন্ডারের ৯০শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ, বলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবার পরই এ সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে সকল সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবারহ করা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
পরীক্ষায় যেসব সিলিন্ডার উত্তীর্ণ হতে পারবে না, সেগুলোকে বাতিল করে দেয়া হবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ—ফাইল ফটো
কাজটি করবে বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং এতে দুই মাস সময় লাগবে।
এ কাজে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, সেটি বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন যোগান দেবে বলে জানিয়েছেন মি. হামিদ।
এর আগে উত্তরাঞ্চলে বিপিসির এলপিজি সিলিন্ডারের ৯০শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ জানিয়ে বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
গত শনিবার সিলেট থেকে তিনটি ট্রাকে গ্যাসভর্তি ৮৭৮টি সিলিন্ডার বগুড়া ডিপোতে আসে। এরপর সেগুলো নামানোর সময় পদ্মা অয়েলের গ্যাসভর্তি প্রায় ৩০০ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় ও তিনটি ট্রাক পুড়ে যায়।

পরীক্ষায় যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন যোগান দেবে
এরপরই নিরাপত্তার প্রশ্নটি নতুন করে সামনে চলে এসেছে। তাতে বিস্ফোরক অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করে, এবং জানায় উত্তরাঞ্চলে বিপিসির এলপিজি সিলিন্ডারের ৯০শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ।
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পরিদর্শক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, উত্তরাঞ্চলে বিপিসির এলপিজি সিলিন্ডারের ৯০শতাংশেরই চুলার সাথে সংযোগ দেবার ভাল্বটি থেকে গ্যাস ‘লিক’ করে।
ফলে বাসাবাড়িতে ব্যবহার হওয়া লক্ষ লক্ষ সিলিন্ডার থেকে যেকোন মূহুর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এসব পর্যবেক্ষণ জানিয়ে তিনি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে ত্রুটিপূর্ণ এলপিজি সিলিন্ডার প্রত্যাহার অথবা মজুদের অনুমতি বাতিল করা প্রয়োজন এমন পরামর্শ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. ইসলাম।
bbc





