সাম্প্রতিক সংবাদ

ভারত থেকে আনা হবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, ট্রান্সমিশন লাইনে খরচ কয়েকশ’ কোটি টাকা!

 ek_546c17f9b33d3fd

বিডি নীয়ালা নিউজ( ৫ই মার্চ ১৬)-অর্থ ও বাণিজ্য প্রতিবেদন: ভারত থেকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ৪ দশমিক ৪৯৯ টাকা হিসাবে দুই বছর বিদ্যুৎ আমদানির জন্য মোট ব্যয় হবে ৩১৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লিমিটেড টেন্ডারিং পদ্ধতিতে ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিডের মাধ্যমে ক্রয়ের জন্য গত ২১ জানুয়ারি একটি প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি বিদ্যুৎ খাত সহযোগিতাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ওই এমওইউর আওতায় প্রাথমিকভাবে ভারত সরকারের অনির্ধারিত বরাদ্দের কোটা থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভায়াপাল নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) এর মাধ্যমে এবং ভারতের খোলাবাজার থেকে পাওয়ার ট্রেডিং কোম্পানি ইন্ডিয়া লিমিটেডের (পিটিসি) মাধ্যমে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দেয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমদানি করা বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট জেনারেটিং স্টেশনের অক্সিলারি কনজামশন এবং ট্রান্সমিশন সিস্টেম লসের জন্য ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে আমদানি করা ৫০০ মেগাওয়াট থেকে ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ খাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) সপ্তম বৈঠকে ভারতের খোলাবাজার থেকে বর্ণিত কম পাওয়া ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারির বৈঠকে এনভিভিএনের মাধ্যমে ডে অ্যাহেড শিডিউলের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (সিইআরসি) ভারতের রেগুলেশন অনুযায়ী ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জের (আইইএফ) মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে এক বছরের জন্য দৈনিক ৩০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এরপর এনভিভিএনের অনুকূলে আগ্রহপত্র ইস্যু করা হয়।

এনভিভিএন জানায়, আইএক্স থেকে ডে অ্যাহেড শিডিউলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়টি শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ বিধায় সিইআরসির বর্তমান পলিসি রেগুলেশন অনুযায়ী বাংলাদেশ ডে অ্যাহেড শিডিউল ভিত্তিতে ৩০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন বাতিল করে। সূত্র জানায়, এ অবস্থায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য বিউবো ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সরকারি সংস্থা এনভিভিএন এবং পিটিসির অনুকূলে সীমিত দরপত্র রিকোয়েস্ট অব প্রপোজাল (আরএফপি) ইস্যু করে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবরের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ভারতের সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান দরপত্রের শর্তসমূহের কিছু পরিষ্কারকরণসহ ১৫ দিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করলে তা বাড়ানো হয়। দরপত্র অনুযায়ী ভারতের পিটিসি জয় প্রকাশ পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেডের (জেপিভিএল) মালিকানাধীন জেপি নিগেরি সুপার থারমাল স্টেশন, মধ্যপ্রদেশ ইন্ডিয়া থেকে ই-অকশন কোল (ডমেস্টিক কোল) এর মাধ্যমে উৎপদিত বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
shared on wplocker.com