ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোটামুটি বিদায় নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ বৃষ্টি থাকতে পারে আরও দুদিন। আগামী ১৪ মে থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এরই মধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন নিঃশেষ হওয়ার অপেক্ষায়। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর থেকে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ৭টি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ওই অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোরতে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

‘অশনি’র অগ্রবর্তী মেঘের প্রভাবে গত ৯ মে থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় তিন বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হয়েছে গত দু’দিনে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘ-রোদের লুকোচুরি খেলা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর মেঘের আনাগোনা বাড়তে থাকে। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। অবশ্য বেলা ৩টার মধ্যে বৃষ্টি আবার অনেকটা থেমেও যায়।

বুধবার (১১ মে) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে, ৭৮ মিলিমিটার। বুধবার ঢাকায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে