_91052373_234a5a0f-e2c5-4638-9809-1769de59246e

বিডি নীয়ালা নিউজ( ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং)-স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন ইংলিশ ফাস্ট বোলার ক্রিস জর্ডন। কারণ ইংল্যান্ড টিমের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ দরকারের চেয়েও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ইংল্যান্ড প্রতিনিধি দল যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। তবে দলের কোন সতীর্থ যদি এ ব্যাপারে ভিন্নভাবে চিন্তা করে, সেটিকেও তিনি শ্রদ্ধা জানাবেন।

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ক্রিস জর্ডন বাংলাদেশের আসার ব্যাপারে পরিষ্কার সম্মতি দিলেন।

ইংল্যান্ডের তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা, প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এই খবর দিয়েছে।

”স্কোয়াডে যদি আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে আমি বাংলাদেশ সফরে যাবো”, জানিয়ে দিয়েছেন ফাস্ট বোলার জর্ডন।

তিনি বলছেন, ”রেগ (রেগ ডিকসন, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা উপদেষ্টা) বাংলাদেশ গিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছেন। নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণ থেকে হোটেল থেকে মাঠে, প্রশিক্ষণে যাওয়া-আসার সব ব্যবস্থা দেখা হয়েছে। তার পর্যবেক্ষণের উপর আমার আস্থা আছে। সুতরাং এই সফরে যেতে আমি আগ্রহী।”

”তবে কেউ যদি সফরে যেতে না চায়, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারও তাদের আছে”, বলছেন জর্ডান।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত ঘুরে যাবার পর ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলটি ক্রিকেটারদের জানিয়েছে, ইংল্যান্ড দলের সফরের সময় বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই সফরের পক্ষেই তাদের মত।

এরপর ক্রিকেটার মঈন আলী প্রথম পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে, সফরের বিষয়ে তার সম্মতি আছে। এরপর জনি বেয়ারস্ট্রো জানান, তিনিও বাংলাদেশে যাচ্ছেন।

ইংলিশ টেস্ট ক্যাপ্টেন অ্যালিস্টার কুকও বাংলাদেশ সফর টিমে থাকবেন বলে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

গত ২৬ অগাস্ট ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।

সভার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলেন, ”বাংলাদেশে ইংন্ডের সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে”।

তবে ওয়ানডে ক্যাপ্টেন ওয়েন মর্গান জানিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে যাবেন কিনা, তা তিনি এখনো জানেন না। একই ধরণের মতামত দিয়েছেন জো বাটলার, অ্যালেক্স হলস সহ কয়েকজন।

যদিও তাদের খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে। কারণ ন্যাটওয়েস্ট টি-টুয়েন্টির পরই স্কোয়াড গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন।

বাংলাদেশে তাদের তিনটি ওয়ানডে আর দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এরপর তারা ভারতে যাবেন।

গুলশান হামলার ঘটনার পর এই সফরটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। গত বছরের শেষের দিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল।

অগাস্টের মাঝামাঝি ইসিবির তিন সদস্যের একটি দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফর করেন। তারা সম্মত হয়েছেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেসব পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, তাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সফরটি করা যেতে পারে।

 

বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে