pilkhana_72364

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই ফেব্রুয়ারী১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা ট্রাজেডির আজ সপ্তম বার্ষিকী। আজ ২৫ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো একটি দিন।

২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা ঘটে।

দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে তৎকালীন বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে এবং তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে।

Pilkhana20160224182553

চারটি প্রধান প্রবেশপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশেপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। অবতারণা ঘটে বীভৎস দৃশ্যের। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে শুরু হওয়া ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর বিদ্রোহের অবসান ঘটে। ততোক্ষণে ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তার জীবনাবসান ঘটে। নিহত হন আরও একজন সৈনিক, দুইজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি।

ঘটনার পর পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। পিলখানায় এ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের সাংগাঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। বিডিআরকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বাহিনীটির নাম, পোশাক, লোগো, সাংগঠনিক কাঠামো, পদোন্নতিতে আনা হয় পরিবর্তন। নতুন নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্ম হয়। পরিবর্তন করা হয় বিডিআর বিদ্রোহের আইন। বর্ডার গার্ড আইনে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা রাখা হয় মৃত্যুদণ্ড।

 

বিজিবি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৬৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। ২৭১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

 

বিডিআর বিদ্রোহের (বর্তমান বিজিবি) ঘটনার ৪ বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এ হত্যা মামলার রায় দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে