untitled-1

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকে মোঃ কাওছার হামিদঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং-এ ব্যবসা বানিজ্য অচল অবস্থা বিরাজ করছে ফলে গোটা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মহল চরম আতংকে ভূগছেন। উল্লেখ্য যে, একদিকে টানা বৃষ্টি অপর দিকে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংএ উপজেলার সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সকাল হলে বিদ্যুৎ চলে যায় অনেক দেড়িতে বিদ্যুত আসে। সারদিন মিলে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসে যে সময় বিদ্যুতের কোন প্রয়োজনে আসেনা। সন্ধায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনা করেন ঠিক সেই সময় বিদ্যুৎ চলে যায় ফলে স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটছে। পাশাপাশি মিল-চাতাল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।

মাগুড়ার কয়েকজন ব্যবসায়ী, মোজাহারুল ইসলাম মিলন, নাইমুল হক, সুজা মিয়া, বুলু মিয়া, গাড়াগ্রাম বাজারের ফিমু কম্পিটারের মালিক ফেরদৌস হোসেন অভিযোগ করে বলেন যে হারে বিদ্যুৎ লোডশেডিং দিচ্ছেন তাতে ব্যবসা গুছিয়ে পালাতে হবে।

মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডের ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম লিটু, মা মেডিসিন কর্নারের মালিক মশিউজ্জামান জানান সময় মত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে এবং বিক্রয় অনেকটা কমে গেছে।

গাড়াগ্রামের পাহাড়ী ফিলিং ষ্টেশনের মালিক টিটুল জানান বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারনে আমাদের পেট্রল পাম্প মালিক লোকসান খাচ্ছি ডিজেল খরচ করে জেনাটরের মাধ্যমে তেল দিতে হচ্ছে এতে মেশিনারীজের সমস্যা হয়।

মাগুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আমীর হোসেনের সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে কথা হলে তিনি মতামত প্রকাশ করে বলেন সরকার প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের মেঘাওয়াট বাড়াচ্ছেন কিন্তু কিছু অসৎ কর্মকর্তার খামখেয়ালী ও গাফিলাতির কারনে বিদ্যুতের এই অবস্থা তিনি আরও জানান বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে যারা বসেন হাজার বার ফোন করলেও তারা ফোন রিসির্ভ করেন না, যার ফলে আমাদের পার্শবর্তী এলাকা গাড়গ্রামে কিছুদিন আগে বিদ্যুত ট্রাজিটি হয়ে কনেক মানুষকে প্রান দিতে হয়েছে।

এমনিতেই আশ্বিন মাস বৃষ্টি লেগে আছে সবসময় অপর দিকে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংএ সাধারন মানষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন ফল হচ্ছেনা। নতুন করে বিদ্যুতের মেগাওয়াট বাড়লেও লোডশেডিং কমছেনা যে পরিমানে বিদ্যুতের চাহিদা সেই পরিমানে বিদ্যুত দিতে পারছেন না কারন মেগাওয়াট বাড়ার সাথে সাথে নতুন করে সংযোগ দিয়েছেন ফলে লোডশেডিংও বেড়ে গেছে। এভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং হতে থাকলে খুব শীঘ্রই ব্যবসায়ী মহল ও সাধারন মানুষ বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও কর্মসুচীর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে  উনারা জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে