epz-750x445

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড অর্থনীতির চাকা সচল ও কর্মসংস্থান তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এখানে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে। পাশাপাশি এখানকার বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে অভাবকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন এই এলাকার এক সময়ের মঙ্গাপীড়িত মানুষজন।

উত্তরা ইপিজেডে এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি, ওয়েসিস ট্রান্সফরমেশন লিমিটেড, ম্যাজেন ইন্ডাস্ট্রিজ, ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিং, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল, কোয়েস্ট অ্যাক্সোসরিজ, কেপি ইন্টারন্যাশনাল, এসএ ইন্টারন্যাশনাল, ফারদিন অ্যাক্সোসরিজ, সনিক বাংলাদেশ, ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিজ, উত্তরা সোয়েটার ম্যানুফ্যাকচারিং বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও হংকং, ব্রিটেন, চীনভিত্তিক বিনিয়োগকারী এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি করছে পরচুলা, বাঁশ-বেত, সানগ্লাস, লেদার-ব্যাগ, ওয়ালেটলেট, প্যান্ট-শার্ট, হ্যাংগার, সোয়েটার ও খেলনা।

নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশি ইউনিয়নে ২১৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইপিজেড ২০০১ সালের জুলাই মাসে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যিক ১৮০টি প্লটর মধ্যে ১৩৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বিনিযাগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এখানে দেশি ও বিদেশি ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজ করছে ২১ হাজার শ্রমিক।

উত্তরা ইপিজেডে ওয়েসিস কফিনস নামে একটি প্রতিষ্ঠান কফিন তৈরি করছে। যা ইপিজেডের মধ্যে ব্যতিক্রম একটি প্রতিষ্ঠান। উৎপাদিত কফিনগুলো যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। বলা যায় ইউরোপ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে নীলফামারীতে উৎপাদিত কফিনের ওপর। তৈরির পর কফিনগুলো প্যাকেটজাত হয়ে সরাসরি পাঠানো হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

ইপিজেড এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের এই এলাকার মানুষ কয়েক বছর আগেও ছিল মঙ্গাপীড়িত। ইপিজেড চালু হওয়ার পর এলাকায় আর অভাব নেই। এই এলাকায় এখন ক্ষেতে খামারে কাজ করার জন্য কোনো মজুর পাওয়া যায় না। যারা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর কথা চিন্তাই করতো না তাদের ছেলেমেয়েরা আজ স্কুলে যায়। তাদের চোখে মুখে এখন অনেক ‘সোনালি স্বপ্ন, তারা এখন স্বচ্ছল।’

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে ইপিজেডের বিনিয়োগ। এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে উত্তরা ইপিজেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী উত্তরা ইপিজেডে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছেন। তাদের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে