756931828e9704f1a494d0f65ff67f26-57d901f138565

বিডি নীয়ালা নিউজ( ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ইং)- ডেস্ক রিপোর্টঃ নীলফামারীতে চামড়ার দাম একেবারেই কম। বলা যায়, পানির দামে সেখানে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকাররা।

বুধবার সকালে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের ‘মৌসুমি’ পাইকার নুরুল আমিন বলেন, ‘গ্রামে-গ্রামে ঘুরে ৫০টি গরুর চামড়া কিনেছি। বেচতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘৩৫ হাজার টাকায় আমি চামড়াগুলো কিনেছি। কিন্তু পাইকাররা দাম বলছেন অর্ধেকের একটু বেশি। চামড়া ভালো রাখার প্রধান উপকরণ হলো লবণ। সেই লবণ দোকান থেকে চড়াদামে কিনতে হচ্ছে।’

শহরের বড়বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, ‘আড়ৎদার আমাদের কাছ থেকে লবণের চড়া দাম নিচ্ছে। আড়ৎ থেকে এক বস্তা লবণ আনতে পরিবহন খরচসহ ১৩৫০ টাকা লাগছে। এ ছাড়া গলে গিয়ে লবণের ওজনও কমে যাচ্ছে। এসব কারণে চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে।’

শহরের ট্রাফিক মোড় বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। আর ছাগলের চামড়ার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও চামড়া বিক্রি করে খুশি নন পাইকাররা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজার রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম এখন কম। আবার লবণের দামও বেশি। এ ছাড়া ট্যানারি মালিকরা চামড়া না কেনার নির্দেশনা দিয়েছে। এটাও বাজারে চামড়ার দাম কমার কারণ হতে পারে।’

নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি সফিকুল আলম ডাবলু বলেন, ‘এই চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ চার জায়গায় হাতবদল হয়। প্রথমে মৌসুমি ব্যবসায়ী গ্রাম ঘুরে চামড়া কেনেন। দ্বিতীয় ধাপে পাইকার বা মধ্যস্থতাকারী নগদ টাকা দিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তা কিনে নেন। তৃতীয় ধাপে যায় আড়ৎদারের কাছে। সবার শেষে কেনেন ট্যানারি মালিকরা। এই চার ধাপের মধ্যে আড়ৎদার কিংবা ট্যানারি মালিক লোকসানের মুখে খুব একটা পড়েন না। লোকসান দিতে হয় আগের দুই পক্ষকে।’

বা/ ট্রি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে