money

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৩ই মার্চ১৬)-নীলফামারী প্রতিবেদনঃ নীলফামারীর শত শত মানুষ এখন দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে।

দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে অনেকে। আর সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বাড়ি থেকে গরু-ছাগল নিয়ে যাওয়াসহ জোরপূর্বক জমি দখল করা হচ্ছে।

তবে গ্রামাঞ্চলে সমিতির নামে কোটি কোটি টাকার দাদন ব্যবসা চললেও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দাদন ব্যবসার কবলে পড়ে অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব। অপরদিকে দাদনের টাকা পরিশোধ করতে দেরি হলে বাড়িঘর দখল করে নেয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে মিলছে জীবন নাশের হুমকি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ না পেয়ে অভাবী মানুষ দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পরে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা গ্রামের চলে এই অসাধু দাদন ব্যবসা।দাদন ব্যবসায়ীদের ভয়ে শতাধিক মানুষ আত্মগোপন করে আছেন। টাকা দিতে না পারায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দিনের পর দিন। আর অসাধু মহাজনদের অত্যাচারের প্রতিকারও মিলছে না কোথাও।টাকা পরিশোধ করতে না পারলে কখনো কখনো অমানবিক নির্যাতন নেমে আসে। চিনিকুটি বাজার এলাকায় সুদখোর মহাজনরা এলাকার সহস্রাধিক মানুষের কাছে লাখ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এই গ্রামে দাদন ব্যবসায়ীরা শতকরা মাসিক ১০ থেকে ১২ টাকা হারে সুদ নিচ্ছেন।সুদখোর মহাজনদের অত্যাচারে জমিজমা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তবে বেশির ভাগ লোকই মহাজনদের খপ্পরে পড়ে বছরের পর বছর ঋণগ্রস্তই থাকছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, দাদন ব্যবসায়ীদের সুদের টাকা আদায না করলে বাড়ী-ঘরের টিন, গরু ,ছাগল টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল ওইসব দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য অভাবী পরিবারগুলোকে সহজ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে