nijeke sukhi rakhun

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬ই  আগস্ট ২০১৬ইং)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ সুখ নামের সোনার হরিণটার পেছনে ছুটতে ছুটতেই আমাদের জীবনের অনেকটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তবু যেন তার দেখা মেলে না। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই আমরা নিজেরাই নিজেদের জীবনে সুখেরধারা বয়ে আনতে পারি।

সেজন্য বেশি কিছু নয়; শুধু একটুখানি চেষ্টার দরকার। যা এনে দেবে অনাবিল হাসি আর সুখের ছোঁয়ায় ভরিয়ে দেবে জীবনকে।

মনোবিজ্ঞানীরাও বলছেন, কিছু কিছু ছোট ছোট উপাদানের কথা; যেগুলো আমাদের সুখের সঙ্গে খুবই গভীরভাবে জড়িত। নিমেষেই খারাপ মন ভালো করে তুলতে এসব অতুলনীয়।

জেনে নিন নিজের জীবনে সুখের ছোঁয়া আনতে আপনি কি কি করতে পারেন সেই তালিকা।

১.
খুশি থাকলে আপনি যা করেন মন খারাপ থাকলেও সেটা করুন। যখন আপনার মন ভালো থাকে তখন আপনি কি করেন? গান শোনেন, বই পড়েন, ঘুরে বেড়ান নাকি আড্ডায় বসেন? তাহলে মন খারাপ হলে সেটাই করুন যেটা আপনি মন ভালো থাকলে করেন। দেখবেন খারাপ মনটাও সহজেই ভালো হয়ে যাবে।

২.
জীবনে কোন জিনিস পেয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি খুশি সেটার তালিকা করুন। হতে পারে সেটা কোনো একটা জিনিস বা দুটি জিনিস। দেখবেন এই ছোট্ট তালিকা আপনার মন নিমেষে ঠিক করে দিতে সক্ষম। দেখবেন শরীরে যেসব সমস্যা ছিল; সেসবও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। যেমন, নাকের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথার সমস্যা। কারণ শরীর আর মন কিন্তু একই সুতায় বাঁধা।

৩.
মন খারাপ হলেই কফি খান আর মেডিটেশন করুন। কফি যে শুধু শরীরকে উজ্জীবিত করবে তাই নয়, বরং সেটা আপনার মুড ঠিক করতেও বেশ কার্যকর। তবে বেশি বেশি খাবেন না। অল্প একটু খান। দেখবেন মুডটা বদলে যেতে খুব বেশি সময় লাগছে না। ক্যাফেইন এই কাজটা করবে খুব ভালোভাবেই। কেউ কেউ অবশ্য চা খেলেও এই ফলাফল পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি খানিকটা সময় মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন আপনার মনটা ঠিক করে দিতে অনেকটাই কার্যকর। সকালের রোদে ও বাতাসে খানিকটা সময় ভালোভাবে শ্বাস নিলে একসময় পার্থক্যটা নিজেই টের পাবেন।

৪.
প্রকৃতির মাঝে হাঁটুন। প্রকৃতি মানুষের মন ঠিক করে দিতে সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সকালে বা বিকেলের দিকে খানিকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। কিছুদিন পরে পার্থক্যটা নিজেই টের পাবেন। তাই বলে শহুরে পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করলে সেই একই ফলাফলটা কিন্তু পাবেন না।

৫.
নিজেকে আরো বেশি খুশি করে তুলতে নিজের মনের কথা লিখুন। আপনি যা ভাবেন সেটাই খাতা-কলমে লিখে রাখুন। দেখবেন মনটা অনেক হালকা হয়ে উঠছে। অনেক সময় আমরা মনের কথাও ঠিক করে প্রকাশ করতে পারি না। সেসব লিখে ফেললে মনটা অনেক হালকা হয়ে যায়, নিজেকে অনেকটাই সুখী মনে হয়।

৬.
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোও নিজেকে খুশি রাখার আরেকটি উপায়। বন্ধুদের জন্য সময় বের করুন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিন, খাওয়া দাওয়া করুন। দেখবেন মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে উঠছে।

 

 

 

 

 


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে