33bangladesh_jatiotabadi_dol_65200-9

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ১৪ তারিখে শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ।বর্তমান কমিটিতে থাকা সভাপতি রাজিব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুর যেমন সাফল্য রয়েছে তেমনি রয়েছে নানা সমালোচনা।বিগত আন্দোলন ও সংগ্রামে  সক্রিয় থাকা না থাকা অনেকেই পদ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলে জানান  সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা।

কিন্তুু দলটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ১১ টি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ মেয়াদ উয়াদোত্তীর্ন পদে অধিষ্ঠিত এ নিয়ে চলছে পদ প্রত্যাশীদের মাঝে দৌড়ঝাঁপ।গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে ঢাকার প্রভাবশালী নেতাদের কাছে দেওয়া হয় ধরনা তেমনি চলছে লন্ডনে রীতিমত যোগাযোগ। ছাত্রদলে প্রতি দু’বছর পর পর কমিটি গঠন হলেও বিগত কমিটিতে পদ বঞ্চিতরা করেছিল আন্দোলন এমনকি রাজনীতি থেকে দূরে চলে গেছেন অনেকেই। দলীয় সূত্রে জানা যায়,২০১৪ সালে ১৪ অক্টোবর রাজিব-আকরাম পরিষদ ১৫৩ সদস্যর আংশিক কমিটি ঘোষনা দেয়।তারপর চলে কমিটি নিয়ে বিভিন্ন রাজনীতি।অবশেষে দীর্ঘসময় পার করে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী ৭৩৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা দেয় তারা। এদিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে ঠাই পেয়েছেন বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু এবং সিনিঃসহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন।

নতুন কমিটির বিষয়ে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহাম্মেদ বলেন, গত ১৯ শে মার্চ অনুষ্ঠিত বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষনা মতে এক নেতার এক পদ গৃহীত হয়। বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে স্থান পাওয়ায় ছাত্রদলের তিনজন রয়েছেন, বিধায় বর্তমান ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে থাকা তাদের যুক্তিসংঙ্গত নয়।নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই স্বাভাবিক।

শোনা যাচ্ছে, বর্তমান সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু এবং সিনিঃ সহসভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন সভাপতি প্রার্থী।নতুন কমিটিতে আসার জন্য সভাপতি প্রার্থীরা হলেন, এজমল হোসেন পাইলট, ওমর ফারুক মুন্না, নাজমুল হাসান, আলমগীর হোসেন সোহাগ, ইখতিয়ার কবীর, মামুন বিল্লাহ্।সাধারন সম্পাদক হিসাবে মিয়া মোঃ রাসেল, সৈয়দ মাহমুদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, রাসেল, মফিজুর রহমান আশিক, নুরুল হুদা বাবু, আবদুর রহিম সেতু, করিম সরকার, বায়েজিদ এসব নেতাদের নাম কর্মীদের মুখে মুখে। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে,আরাফাত বিল্লাহ,মেহেদী হাসানের নাম এছাড়া যুগ্ন সম্পাদক পর্যায়ের ছাত্রনেতারা চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ছাত্রদলের শীর্ষস্থানে থাকা এখন পর্যন্ত একটি জেলা কমিটি ঘোষনা দিতে পারেনি।এমনকি সাধারন সভা পর্যন্ত নয়। তবে শোনা যাচ্ছে যে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অপূর্নাঙ্গ ৪৫ টি সাংগঠনিক জেলার পূর্নাঙ্গ কমিটি দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে।ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার বিডি নীয়ালা নিউজ কে জানায়, দলের নেত্রী ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নির্ভর করবে বর্তমান কমিটি কতদিন থাকবে।এছাড়া বর্তমান বিএনপিতে ছাত্রবিষয়ক ও  সহ ছাত্রবিষয়ক পদে কাউকে বসান হয়নি।তবে স্থানীয় নেতা-নেত্রীগণ আশা করেন যে এবার ছাত্রদলের কমিটি গঠনে সরাসরি দেশনেত্রী হস্তক্ষেপ থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে