alokfad

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬ই মার্চ১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধিরাজশাহী):  আসন্ন বোরো মৌসুমে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কৃষকেরা ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহারে বালাই দমনে সুফল পেতে শুরু করেছে।

কয়েক বছর ধরে তারা কৃত্রিম কীটনাশক ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পোকা দমন শুরু করেছে। এতে খরচ কম এবং ফলনও ভালো হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কৃষকেরা উপজেলার সর্বত্র পার্চিং পদ্ধতি এবং আলোক ফাঁদ পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছে। আর উপকারী এই বালাই দমণের কাজে উদ্বুদ্ধকরণ এবং কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ। এবছর কাজিপুর উপজেলার মোট ১৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। সুষম সারের ব্যবহার, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ, শুকনো বীজতলায় উৎপাদিত উন্নত ধানের চারা, পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার এবং সর্বোপরি আলোক ফাঁদের ব্যবহারের ফলে মাঠে পোকা মাকড়ের উপস্থিতি অনেকাংশে কমে গেছে। রাসায়নিক ওষুধ কিনতে হচ্ছেনা বিধায় কৃষক অনেক কম খরচে ধান উৎপাদন করতে পারছে। তারপরও বসে নেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব কল্যাণ প্রসাদ পাল জানান, মাঠে পোকা মাকড়ের উপস্থিতি আছে কিনা তা জানার জন্য আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত অতন্দ্র জরিপ, হাত জাল, পানি পাত্র বা চাক্ষুষ পদ্ধতিতে মাঠ পরিদর্শন কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিকারক পোকার উপস্থিতি জানতে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি সন্ধ্যা বেলায় ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কাজিপুর উপজেলায় ৩৭টি ব্লকের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ১০/১২টি ব্লকে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রহমান জানান, আলোক ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষতিকারক পোকার উপস্থিতি জানার এবং দমনের চেষ্টায় আছি। কোথাও ক্ষতিকারক পোকার উপস্থিতি পাওয়া গেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পোকা দমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে