সাম্প্রতিক সংবাদ

দুই বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনে (বাপা) প্রশাসক বসিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বারভিডার প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছাদেক আহমেদ। আর বাপার প্রশাসক একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিন্নাত রেহানা।

যোগাযোগ করলে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুটিতেই ভোটার তালিকাবিষয়ক জটিলতা ছিল। প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে।’

জানা গেছে, বারভিডার বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। এর আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সমিতির সাবেক সদস্য আনোয়ার সাদাত আদালতে রিট আবেদন করেন। আনোয়ার সাদাতকে আগের কমিটি অনিয়ম করার অভিযোগে বহিষ্কার করলে সদস্য পদ ফিরে পেতে এবং ভোটার হতে তিনি সম্প্রতি রিট করেন। ছাদেক আহমেদের নেতৃত্বে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা হবে। এরপর নিয়োগ হবে নতুন নির্বাচন কমিশন, যে কমিশন নির্বাচন আয়োজন করবে।

বারভিডার সভাপতি (প্রশাসক বসার আগপর্যন্ত) আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবকিছু ঠিকমতোই এগোচ্ছিল। নির্বাচন কমিশন এখনো কার্যকর। এত সমস্যার মধ্যে আমরা বার্ষিক সাধারণ সভা করেছি, তারপরও প্রশাসক বসানোয় আমরা হতবাক হয়েছি।’

প্রশাসক বসানোর বিরুদ্ধে বারভিডা কিছু করছে কি না জানতে চাইলে আবদুল হক বলেন, ‘অন্যদের সময় দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা আপিল করেছি, যাতে প্রশাসক তুলে নেওয়া হয়।’

এদিকে বাপায় প্রশাসক বসানোর পেছনেও আছে নির্বাচন ও ভোটার হওয়াসংক্রান্ত জটিলতা। গত ২৯ ডিসেম্বর একটি নির্বাচন হয়। ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৯৮ জন, যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ দেয় এর আগের দিন ২৮ ডিসেম্বর।

সূত্রগুলো জানায়, সমিতির এক সদস্যের অভিযোগের কারণে পুরোনো ভোটার তালিকা থেকে বড় কোম্পানিগুলোর ৫৯টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। বাতিল হওয়া ভোটারদের মধ্যে কাজী গ্রুপ, প্রাণ, স্কয়ার, বিডিফুড, ডেনিশ, বনফুল, গোল্ডেন হারভেস্টের মতো বড় বড় কোম্পানির সদস্যরাও ছিলেন।

স্বত্বাধিকারী (প্রোপাইটরশিপ) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালিক নিজে এবং অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অংশীদার ভোটার হতে পারবেন এমন কথা বলা আছে। ১৯৯৮ সালে বাপার জন্মলগ্ন থেকেই এ চর্চা চলে আসছিল। এবার এ বিষয়ে কিছু জটিলতা হওয়ায় অনেকে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়া ভোটাররা আদালতে গেলেও রায় তাঁদের পক্ষে আসেনি।

নির্বাচন বাতিল করে ৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান আবু মোতালেবকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, প্রশাসক ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা করে নির্বাচনের আয়োজন করবেন।

pr/N

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

shared on wplocker.com