2016-09-28_10_640156

ডেস্ক রিপোর্টঃ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়ন করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বুদ্ধিজীবীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘তথ্য জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পথ দেখায় এবং সমাজ থেকে দুর্নীতি ও অন্যায় দূর করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে তথ্যের অভাব সমাজে দুর্নীতি ছড়াতে সহায়তা করে।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক এম গোলাম রহমান, তথ্য সচিব মর্তুজা আহমেদ, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার ও অধ্যাপক খুরশিদা বেগম সাঈদ এবং আরটিআই ফোরামের আহবায়ক শাহীন আনাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ হলোÑ গণতন্ত্র ও সুশাসনের চালিকাশক্তি এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের মান উঁচু হয় যখন সে দেশের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয় এবং অনুন্নয়নের প্রধান কারণ হলো দুর্নীতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংহত করার জন্য জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আরটিআই বিধি প্রণয়নের মূল লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতি দূর করা।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সমাজে তথ্য গোপনের একটি চর্চা রয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনগণকে তথ্য প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করে সাধারণ মানুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানলে তাদের প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের কল্যাণ তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে সহায়তা করে। এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।

বি/এস/এস/এন


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে