রাজিউল ইসলাম স্বপন,নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আজ রবিবার চলছে মহাষ্ঠমী, দেবীর সন্ধি পুজা এবং কুমারী পুজার মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমক ভাবে পালন করছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রুপ চিন্তা করে তাকে দেবী নামই কুমারী পূজা।
নারায়নগঞ্জ শহরে একমাত্র চাষাড়া রামকৃষ্ণ মিশনে এই কুমারী পূজা।এক পূজারী কৃষ্ণা রানীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন এই পূজা করা হয়? তিনি জানান, কুমারী বালিকার মাঝে শুদ্ধরুপ, সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাত পুষ্প সুলক্ষনা কুমারীকে পূজার উল্লেখ আছে।ব্রাক্ষণ অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান আছে।বয়স ভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। তথ্য নিয়ে জানা যায় যে, বয়স ভেদে ভিন্নরুপ হয় পূজা , এক বছর বয়সে সন্ধা, দুইয়ে সরস্বর্তী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাতে মালিনী, আটে কুজ্বিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কাল সন্ধভা, এগারয় রুন্দ্রানী, বারোয় ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষী চৌদ্দয় পীঠনায়িক, পনেরোয় ক্ষেত্রঙ্গা এবং ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়ে থাকে। এদিকে নির্বাচিত কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো, হাতে দেওয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুর, তিলক ও পায়ে আলতা দিয়ে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা এবং চারদিকে মুখারিত শঙ্খ এবং উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব স্ততিতে।
দেবীর সন্ধি পূজা এবং কুমারী পূজার মাধ্যমে চলছে মহাষ্ঠমী।কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রুপ চিন্তাকরে তাকে দেবী রুপে পূজা করেন ভক্তরা। নারায়নগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশনে এবার কুমারী দেবীরুপে মন্ডবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ঢাকার বাসিন্দা উৎপল চক্রবর্তী ও রুপা চক্রবর্তীর ৫ বছরের ঐশ্বিকা চক্রবর্তী, সে ধানমন্ডি ওয়াইউব্লিউসিত্র উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নার্সারী বিভাগের ছাত্রী।
কুমারী পূজা সম্পূর্কে নারায়নগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী একনাথানন্দজী জানান, দেবীকে জাগ্রতিক ভাবে পূজা করতে এ কুমারী পূজার আয়োজন।সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরুপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।তিনি আরো জানান, প্রথমে সর্ব দেবদেবীর পূজা করে পরে কুমারী পূজা,পুষ্পঞ্জলি দেওয়া হবে। শহরে একমাত্র কুমারী হবে রামকৃষ্ণ মিশনে।
পূজা উদ্যোক্তদের আশা, অষ্ঠমীর ভির সপ্তমীকে ছাড়িয়ে যাবে। আর লক্ষ্য করা যায়, যেমনি হচ্ছে লোকের সমাগম তেমনি নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনী।
