সাম্প্রতিক সংবাদ

টিয়া পাখি আর পিঞ্জিরা বিক্রিতে সংসার চলে সবুজের

unnamed-8_37844

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ অভাবের সংসার। ইচ্ছে থাকলেও লেখাপড়া করতে পারেনি সবুজ (২০)। সংসারের চাকাটা চালানোর জন্য ফরিদপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সে। হেঁটে হেঁটে টিয়া পাখি আর পিঞ্জিরা বিক্রি করে আয় করছে। ওরা ৪/৫ জন দলবেঁধে একাজ করে চলেছে। বেচাবিক্রি শেষ হলে ফিরবে বাড়ির পথে।

সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে কথা হয় সবুজের সাথে। পিঞ্জিরায় আটকানো টিয়া পাখি নিয়ে ছুটছে। বাড়ি ফরিদপুরের খোদাবক্স মোল্লাপাড়ায়। পিতা লিয়াকত মিয়া। বাবা, মা, ভাই-বোন মিলে ৫ জনের পরিবার।

উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে একমাত্র সবুজ। ব্র্যাক স্কুলে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। তাই এই পড়াশোনায় ভাল চাকরী পাওয়া খুব কষ্টকর সে ভালভাবে জানে। বন্ধু-বান্ধব লোকলজ্জার কারণে এলাকায় কাজ না করে পাখি বিক্রির কাজে নেমে পড়ে।

সবুজ জানায়, পাখি ধরা ও বিক্রি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও সংসারের প্রয়োজনে সে এই পেশায় নেমেছে। খাঁচাসহ টিয়া পাখি কিনেন ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায়। আর সেটি বিক্রি করেন প্রায় ৭শ’ টাকায়। চন্দনা জাতের টিয়া পাখির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এলাকার শিশু-কিশোর আর সৌখিন মানুষ তার পাখি কেনেন।

সে জানায়, মাঝে-মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে লোকজন তার দলের লোকজনকে ভয় দেখায়। এতে করে প্রায় ভয়ভীতিতে থাকতে হয়। এরমধ্যে অনেককেই টাকা দিয়েও খুশি করতে হয়। টিয়া পাখি বিক্রির সময় ক্রেতাকে সবুজ লালন-পালনসহ খাদ্য তালিকা বলে দেয়।

টানা ৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছে সবুজ। এরা ৪/৫ জন মিলে বাড়ি থেকে বের হয় এবং পাখি আর পিঞ্জিরা বিক্রি শেষে যায় নিজ বাড়িতে। তারপর পাখি ও পিঞ্জিরা সংগ্রহ করে সে। কোথায় থেকে এসব কেনে তা বলতে নারাজ সবুজ।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
shared on wplocker.com