ডেস্ক রিপোর্টঃ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পাঁচ দিনের জোর ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়।

এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন অন্তত শতাধিক মুসল্লি।আহতরা সবাই টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জড়ো হয়েছেন। আহত অধিকাংশ মুসল্লির মাথা, নাক ও পিঠ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এর আগেই মাওলানা জোবায়ের আহমেদের সমর্থকরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন।

সকালে মাওলানা সাদপন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে দুইপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটার আঘাতে মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়াসহ (৪২) অন্তত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

আহতরা টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জড়ো হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই মাথা, নাক ও পিঠ দিয়ে রক্ত ঝড়ছে।

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ হোসেন  বলেন, এক সঙ্গে রক্তাক্ত জখমের এত রোগী টঙ্গী হাসপাতালে আর আসেনি। আমরা সবাই মিলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

এর আগে সকালে রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় তাবলিগ জামাতের সাদ ও জোবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। এছাড়া বিমানবন্দর গোলচত্বরে তাবলিগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে