jabi

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই মার্চ১৬)-অনলাইন প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি র‌্যাগিং নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘র‌্যাগিং বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য’ ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবছর অপরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন বিভাগ খুলছে। অনেক বিভাগে আসন সংখ্যা বাড়াচ্ছে, কিন্তু হলে কোনো সিট বাড়ানো হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের সংখ্যার অনুপাতে নতুন হল নির্মাণ করা হচ্ছে না, যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় নবীন শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে ভুগছে; গণরুমে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর এ সুযোগে কিছু ছাত্র সংগঠন ও কিছু দুষ্কৃতিকারী সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা চরম র‌্যাগিং নামক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নবীন শিক্ষার্থীরা।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের অবহেলার কারণে র‌্যাগিং কমছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রব্বনী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ থেকে জাবিতে নবীন ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। ক্লাস শুরুর দিন থেকেই চলছে প্রতি বিভাগে র‌্যাগিং নির্যাতন। ১২ মার্চ ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হলে গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাগ দেয়, হল প্রভোস্ট বাধা দিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ১৩ মার্চ রবিবার আবার একই হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের র‌্যাগিংয়ের ফলে রসায়ন বিভাগের শরীফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যায়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রথম বর্ষের  শিক্ষার্থী বাংলামেইলকে জানায়, প্রায় সবগুলো ছেলেদের হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের গভীর রাত পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখেন। তাদের বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ অকথ্য ভাষায় উচ্চস্বরে গালাগাল করেন। তাদের সময় মতো ঘুমাতে দেন না, ফলে সকালে তারা ঠিকমত ক্লাস করতে পারে না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করতে ভয় পাচ্ছেন। র‌্যাগিংয়ের কারণে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে