সাম্প্রতিক সংবাদ

জাতিসংঘে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা

2016-09-25_6_560434

ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৭১তম সভার সাইড লাইনে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বার্ষিক মন্ত্রিপর্যায়ের সভা শনিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অধিকতর সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের জন্য অবকাঠামো বিদ্যুৎ, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি এবং দক্ষতাবৃদ্ধিতে অধিকতর বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে প্রেরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের এই সভায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহ, তাদের উন্নয়ন সহযোগী উন্নত এবং মধ্যম আয়ের দেশসমূহের মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এবং জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল মি. ইয়ান ইলিয়াসন বলেন, শরণার্থী এবং অভিবাসী মোকাবেলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর গৃহীত নিউইয়র্ক ডিক্লারেশনের বাস্তবায়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাহায্য করতে হবে।
জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনের সভাপতি মি. পিটার থমসন সকল সরকারকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহকে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত করার আহবান জানান।
সভায় অংশগ্রহণকারী স্বল্পোন্নত দেশগুলো ২০৩০ এজেন্ডা এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন সনদ ‘ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন (আই.পি.ও.এ)’ বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো বৈদেশিক সাহায্য, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সাহায্য প্রদান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিছু সুপারিশ সম্বলিত একটি ‘মিনিস্টারিয়াল ডিক্লারেশন’ গৃহীত হয়।
সভার শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা, ‘টেকনোলজি ব্যাংক’ চালুকরণ এবং রেমিটেন্সের উপর জোর দেন।
সভায় ‘স্টেট অব দি লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিস ২০১৬’ শীর্ষক জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

 

বি/এস/এস/এন

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
shared on wplocker.com