জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী: স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর সাথে সাথে চিলাহাটি রেলস্টেশনের আধুনিকরন উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল। ইতিমধ্যে ক্যাচেলের সিংহভাগ লোকজন স্টেশনের কাজ ছেড়ে চিলাহাটি থেকে পালিয়ে গেছে। যাহার ফলে থমকে দাঁড়িয়ে আছে রেলওয়ের উন্নয়নমূলক কাজ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রেল যোগাযোগ পূর্ণ স্থাপনের জন্য দেশের সর্ব উত্তরের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি- হলদিবাড়ি রেল সংযোগ সহ চিলাহাটি স্টেশনকে আধুনিকরন কাজের জন্য ২০১৮ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কোম্পানিকে নির্মাণ কাজ দেওয়া হয়। ম্যাক্স এরই মধ্যে চিলাহাটি – হলদিবাড়ি রেল সংযোগ স্থাপন, চিলাহাটি রেলস্টেশনে আইকনিক ভবন নির্মাণ, লুপলাইন বসানো, ১ নং প্লাটফর্ম নির্মান, বাউন্ডারি ওয়াল ও পানি নিষ্করণের ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। এই কাজগুলোর ফলে চিলাহাটি দিয়ে ঢাকা-শিলিগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু হয়। অপরদিকে ২০২২ সালে চিলাহাটি রেলস্টেশনের ১ নং প্লাটফর্মের সেড,২ নং প্লাটফর্ম ও সেড, ওভারব্রিজ এবং আধুনিক ওয়াসফিড নির্মাণের কাজ দেওয়া হয় ক্যাসেল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল শুরু থেকে ধরি মাছ না সুই পানি এই ভাবে স্টেশনের কাজকর্ম ধীর গতিতে চালিয়ে আসছে। তাদের বরাদ্দকৃত কাজ গুলি সিংহভাগ কাজেই অসমাপ্ত ভাবে পরে থাকে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার দিন থেকে ক্যাসেল তাদের সকল কাজকর্ম বন্ধ রাখে। ব্যাহত হয়ে পড়ি রেলওয়ের উন্নয়নমূলক কাজ।
স্টেশন সংলগ্ন স্থানীয় রবিউল ইসলাম ও আসাদুল বসুনিয়া বলেন, ঠিকাদার ক্যাসেল স্টেশনের কাজ বন্ধ রেখে তাদের লোকদেরকে সরিয়ে দিয়ে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। প্রায় এক মাস থেকে স্টেশনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। তাদের অফিসের গেটে ঝুলছে তালা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেলের প্রকল্প পরিচালক সলেমান আলী বলেন, কাজের বিল না পাওয়ায় কাজগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে