মারুফ সরকার, বিনোদন থেকেঃ ‘ফটোশ্যুট বা মিউজিক ভিডিও – যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন আমার লক্ষ্য হলো চলচ্চিত্র। তাতে আমার গণসঙ্গীত শিল্পী পিতার স্বপ্নপূরণ হবে। তার মৃত আত্মা শান্তি পাবে।’ এ কথা বলেছেন মিডিয়ায় কাজ করা সামিয়া মিতু। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই তিনি তিনটি টিভিসির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেগুলোর কাজ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে। 

মিডিয়া জগতে আগত এই মডেল কন্যার সঙ্গে কথা হচ্ছিল এফডিসিতে প্রযোজক সমিতির অফিসে বসে। তিনি আবেগ আপ্লুতভাবে বলতে থাকেন, তার পিতা চট্টগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহ বাঙালি ছিলেন একজন খ্যাতিনামা গণসঙ্গীত শিল্পী। তিনি গানের বিষয় জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে গানের কথা ও সুর তৈরি করে গেয়ে ফেলতে পারতেন। সামিয়া মিতু শাহ বাঙালির দ্বিতীয় সংসারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। 

তিনি বলেন, ‘এটা আমার পিতার আসল নাম নয়। তার আসল নাম মোহাম্মদ শফিউল্ল্যা। তার শাহ বাঙালি নামটি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রামের মুসলিম হলে এক সমাবেশে গান গেয়ে পরিচিত হন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা ছিল শাহ বাঙালির জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। বঙ্গবন্ধু তাকে বলেন, তিনি যেখানেই ৬ দফা নিয়ে জনসভা কিংবা সমাবেশ করবেন সেখানে গান গাইতে হবে তাকে। বঙ্গবন্ধুর এ কথা তিনি লুফে নেন। পরে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নামটিতেই তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নামটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, মেয়ে হিসেবে আমার শরীরেতো তারই রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমি হয়তো তার মতো প্রতিভাবান নই। কিন্তু আমি তার সন্তান হিসেবে যে ছিঁটেফোটা পেয়েছি তাকে শাণিত করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করব। 
চিত্রপরিচালক জাকির খানের সঙ্গে একটি ছবি নিয়ে তার কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে আছে। সেটির কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে তা তিনি বলতে পারেননি। শুরু হলেও সেটাতে আর হয়তো কাজ করবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান নায়িকা ছাড়া কাজ করব না। মৌসুমী, শাবনূর আপুদের মতো আমিও একজন খ্যাতিমান তারকা তথা অভিনেত্রী হয়ে উঠতে চাই।’

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা সামিয়া মিতু ঢাকার মিরপুরের বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে তার। নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। তবে তিনি আত্ম-অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ধীর লয়ে এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন, নাটকের অনেক অফার পাই। যেহেতু আমি চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই, সেহেতু নাটক এড়িয়ে চলছি। 

মের সন্দ্বীপের বাসিন্দা সামিয়া মিতু ঢাকার মিরপুরের বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে তার। নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। তবে তিনি আত্ম-অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ধীর লয়ে এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন, নাটকের অনেক অফার পাই। যেহেতু আমি চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই, সেহেতু নাটক এড়িয়ে চলছি। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে