Taka

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই মার্চ১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন(নীলফামারী প্রতিনিধি):  ক্ষুদ্র ঋণের কবলে আটকে পড়েছে নীলফামারী সদরের হাজার হাজার হতদরিদ্র মানুষ।

নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের সাধারণ দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের অসচেনতা আর ঋন সম্পর্কিত কোন প্রকার প্রশিক্ষন ও সার্বিক তথ্য জানা না থাকার ফলে এবং ঋনের ব্যবহার বিধি জ্ঞান ও ধ্যান-ধারনা না থাকায় গ্রামের সাধারণ মানুষ আজ এনজিও-এর ঋণের কবলে পড়ে দরিদ্রতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

এনজিওগুলো সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের কথা বললেও তারা মূলত চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে চললেও এসব সুদখোরদের ধরার নেই কেউ।

ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতারা ঋণ নিয়ে এক যুগেও স্বাবলম্বী হতে পারছে না। বরং এনজিওগুলোর কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে হারাতে হচ্ছে ভিটে মাটিসহ বসতঘর। অনেকে হয়েছেন বাড়িছাড়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নীলফামারী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক এনজিও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, বার্ডের মতো বড় বড় এনজিও এই শহরে রয়েছে।

জানা গেছে, নীলফামারী সদর উপজেলায় দরিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে গ্রাম গঞ্জেরে অসহায় দরিদ্র মানুষদের প্রতিষ্ঠিত করার আশ্বাস দিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারী এনজিও সংস্থা ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের কারণে ৫ থেকে ৬টি এনজিওর সাথে একই ব্যক্তি জড়িয়ে পড়েছে। এই ঋণ গ্রহিতারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সংস্থা থেকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহন করেছে।

ঋণ প্রদানকারী ঋণ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি বাড়তি সুদের কথা অস্বীকার করে বলেন, কাউকে ৫ হাজার টাকা দিলে এক বছরে ৫ হাজার ১ শত ৫০ টাকা নিচ্ছি এর বেশি কিছু নেওয়া হয় না বলে জানান এনজিও কর্মকর্তারা।

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের নারগিস বেগম বলেন, কোনো সময় ঋণের কিস্তি দিতে দেরি হলে ওই অফিসের লোক বাড়িতে এসে মানসিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করে।

এলাকাবাসীর দাবী, এনজিও হাত থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে সহজ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার এর কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে