aien

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৯ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই-কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে ফাঁসি দেয়া যাবে মর্মে হাইকোর্টের ১৬৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

আর এই রায়ে নিষ্পাপ মানুষ হত্যা ‘কোরআনের নিষেধাজ্ঞা ও মহানবীর (সা.) ঐতিহ্যের লঙ্ঘন’ বলে বিচারকরা তাদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ কপিতে এ বিষয়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।

এর আগে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতা ও বোমা-গ্রেনেড হামলার আরও কিছু মামলা বিচারাধীন।

রায় পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবীর বলেন, ‘একজন যদি ষড়যন্ত্র করেন, অন্য একজন যদি তা শোনেন, তাহলে সে ষড়যন্ত্রকারীর অংশীদার হিসেবে গণ্য হবেন। এটা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে বলেও মত দিয়েছেন আদালত।’

জঙ্গি হামলার এই মামলার রায়ে কোরআনের একাধিক সুরার আয়াত (সুরা আল মায়িদা এবং সুরা আন নিসা) ও হাদিস উদ্ধৃত করা হয়েছে।

রায় পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়েছে, ইসলাম কেবল হত্যা অসমর্থনই করে না, এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। অপরাধমূলক কাজ, বোমা ও গ্রেনেড বিস্ফোরণে ষড়যন্ত্র ও নিষ্পাপ মানুষ হত্যা করে অভিযুক্তরা কোরআনের নিষেধাজ্ঞা ও নবীর ঐতিহ্য লঙ্ঘন করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই-কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়।

#banglamail

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে