কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ১৪। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সদরে। জানাগেছে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের জন্য বিএনপির সাবেক নেতা মাসুদ রানা পাটোয়ারী কিশোরগঞ্জ গঞ্জ হাইস্কুল মাঠে ভেন্যু ঠিক করেন। এদিকে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম তারাও একই স্থানে ভেন্যু ঠিক করেন। ফলে উভয়ের মধ্যে ভেন্যু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডার সুষ্টি হলে এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। পরে এটি সংঘর্যের রুপ নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে জাতীয়পার্টি সমর্থিত কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (গ্রেনেট বাবুর)সহ তার সমর্থকরা উক্ত মারামারিতে যোগ দিলে সংঘর্ষটি রনক্ষেত্রে পরিনত হয় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত হন ১৪জন। আহতদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান জাতীয়পার্টি সমর্থিত চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু আমাদেরকে কয়েকদিন ধরে হুমকী দিচ্ছিল (৩১ আগষ্ট) সন্ধায় তার দলবল নিয়ে এসে আমাদের লোকজনের উপর ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায় এতে আমাদের প্রায় ১২জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং দুএকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়াসহ এটি বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্য নয় বলে তিনি দাবী করেন। এদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা মাসুদ রানা পাটোয়ারী সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন বৈষম্যের শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের জন্য পুর্বঘোষিত কিশোরগঞ্জ হাইস্কুল ভেন্যু ঠিক করলে আমরা যাতে সেখানে প্রোগ্রাম করতে না পারি তারাও সেই স্থানটিতে ভেন্যু নির্ধারণ করেন এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষবাধে তাদের লোকজন আমার ছোট ভাই গ্রেনেট বাবুকে মারপিট করে এবং তার দোকান ভাংচুর করে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানান সংঘর্ষের সময় আমাদের প্রশাসনের কোন লোকজন ঘটনাস্থলে যায়নি, আমি মোবাইল ফোনে দুই পক্ষের লোকজনকে সংঘর্ষ এড়াতে নিষেধ করেছি।