2016_04_01_15_56_59_oYrFNH7RSJ9tp1UzhgoMCBUfdclzJF_original

বিডি নীয়ালা নিউজ(১ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ নির্যাতিত-নিপীড়িত। আত্মঘাতী,বিস্ফোরণ,বোমা হামলা আর নামে-বেনামের জঙ্গি সংগঠনের আতঙ্কে নির্ঘুম রজনী পার করছেন অনেকে। আতঙ্কে যুক্ত হয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। অথচ অন্যায়ভাবে একজন মানুষ হত্যা করাকে কুরআনুল কারিমে ‘সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা’ করার নামান্তরে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনুল কারিমে অন্যায়ভাবে হত্যা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ সম্পর্কে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল, আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করল সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।’ (সূরা মায়েদা : ৩২)

অন্যায়ভাবে হত্যার শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম,সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন,তাকে লানত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সূরা নিসা : ৯৩)।

ইসলাম ধর্মে হত্যার প্রতি প্ররোচনাদানকারী হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ-ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছে। এ বিষয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে-অপরের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করো না, হিংসা করো না এবং একে অপরের পেছনে লেগে থেকো না। আল্লাহর বান্দা সবাই ভাই ভাই হয়ে যাও। (সহি বুখারি)

এমনকি হত্যার প্রাথমিক বিষয় তথা অস্ত্র দিয়েও কাউকে ভয় দেখাতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের দিকে অস্ত্র তাক না করে। কারণ সে জানে না, হয়তো শয়তান তার হাত থেকে তা বের করে দিতে পারে, ফলে সে জাহান্নামের গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হবে।’ (সহি বুখারি)

সূত্রঃ বাংলা মেইল

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে