2016-09-25_5_373647

স্পোর্টস ডেস্ক- ২৭৯ রানের জবাবে ১৩৮ রানেই অলআউট হয়ে গেল আফগানিস্তান। ১৪১ রানে ওয়ানডে ক্রিকেটে শততম জয় পেলো বাংলাদেশ। সঙ্গে সিরিজও জিতলো ২-১এ।

ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কাটি খেয়ে গেলো আফগানরা। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই আফগান ইনিংসে আঘাতটি হানলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার করা গুড লেন্থের বলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে যান শাহজাদ। কিন্তু ব্যাট আর প্যাডের মাঝে রাখেন বিশাল একটি গ্যাপ। সুতরাং, বলটি ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানলো স্টাম্পে।

আফগানদের দলীয় ৫ রানে পড়লো প্রথম উইকেট। শাহজাদ ৭ বল খেলে ফেরেন শূন্য রানে। এরপর অবশ্য নওরোজ মোঙ্গল আর রহমত শাহ মিলে বিপর্যয় কাটানোর ইঙ্গিত দিযে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। দু’জন মিলে গড়ে ফেলেন ৪৭ রানের জুটিও।

এরপরই আট বছর পর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মোশাররফ হোসেন রুবেলের ঘূর্ণি ফাঁদ। নওরোজ মোঙ্গলকে ফেলেন লেগবিফোরের ফাঁদে। এরপর তার বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাট তুলে দেন হাশমতুল্লাহ শহিদি। ৫২ রানে বসিয়ে রেখেই দুই উইকেট তুলে নেন রুবেল। হাশমতুল্লাহর আউটের পর আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই হলেন দুর্ভাগ্যের শিকার। ১৭তম ওভারে রহমত শাহের সঙ্গে একটি দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের সরাসরি থ্রোতে হলেন রানআউট।

এরপর অবশ্য রহমত শাহ আর সামিউল্লাহ সেনওয়ারি মিলে গড়েন ২৮ রানের জুটি। বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করছিল যখন আফগানরা, তখন তাসকিন আহমেদকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মাশরাফি। জুটিটা ভাঙেন তাসকিনই।

তার একটি বাউন্সারে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগান সেনওয়ারি। বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের হাতে। বাংলাদেশের জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিচ্ছিলেন রহমত শাহ। অবশেষে তাকেও ফেরালেন তাসকিন। তার বলে খেলতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন রহমত শাহ। ক্যাচটি তালুবন্দী করেন অতিরিক্ত ফিল্ডার নাসির হোসেন। ৭৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন রহমত শাহ।

আফগানদের অন্যতম ভরসার প্রতীক মোহাম্মদ নবীকে রিটার্ন ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন মোশাররফ রুবেল। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করেন নবি।

 

S/k/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে